Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jagaddhatri Puja

করোনার দাপট কাটিয়ে পুরনো ছন্দে চন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, প্রস্তুতি শুরু উদ্যোক্তাদের

এবছর প্রবল ভিড়ের আশঙ্কা করছে পুজো কমিটি।

Preparation of Jagaddhatri Puja started in Chandannagar | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 27, 2022 9:12 pm
  • Updated:October 27, 2022 9:12 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: করোনা (Coronavirus) মহামারীর কারণে গত দু’বছর জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে চন্দননগরে সেভাবে কোনও জাঁকজমক দেখা যায়নি। তবে এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagaddhatri Puja) পুরনো চেনা ছন্দে ফিরতে চলেছে চন্দননগর। এবার বিসর্জনে সর্বকালের সেরা আলোক শোভাযাত্রা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চলেছে চন্দননগর। পুজোর দিনগুলিতে প্রবল ভিড়ের আশঙ্কা করছে পুজো কমিটিগুলি। ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানান, চতুর্থী ও পঞ্চমীর দিন থেকে বেশ কিছু পুজো কমিটির পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে যাবে। যেহেতু গত দুই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে সেরকমভাবে মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে পারেননি তাই এই বছর রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হবে চন্দননগরে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ও নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর পর্যন্ত এই কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭১ টি পুজো হয়েছে। এই বছর সেই সংখ্যা বেড়ে ১৭৬-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে চন্দননগরের ১৩২টি ও ভদ্রেশ্বরের ৪৪ টি পুজো। এই বছর চন্দননগর বিসর্জনে সর্বকালের সেরা আলোক শোভাযাত্রা উপস্থাপিত করবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় কমিটির। সারারাত ব্যাপী এই শোভাযাত্রায় ৬১টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালের যে সমস্ত পুজো কমিটিগুলির জুবিলি বর্ষ ছিল তারাও অংশগ্রহণ করবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিল মেটানোর নামে জালিয়াতি, ইছাপুরের বাসিন্দার অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও দেড় লক্ষ টাকা]

২২৮ টি লরিতে এই আলোক শোভাযাত্রা দশমীর সন্ধে থেকে সমগ্র চন্দননগর পরিক্রমা করবে। চন্দননগরের সাতটি ও ভদ্রেশ্বরের সাতটি মোট ১৪ টি ঘাটে বিসর্জন হবে। বিসর্জনের শোভাযাত্রা সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য কোনও পুজো কমিটি তাদের ব্যান্ডে ৪০ জন এবং ১২ জনের বেশি ঢাকি রাখতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবছরের এই শোভাযাত্রা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি এবারের পুজোয় পরিবেশ বান্ধব পুজোর উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুজোকে কেন্দ্র করে আতসবাজি পোড়ানো, ডিজে বক্স বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসা, পানীয় জল ও টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটি।

অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অডিও ক্লিপ পাঠানো হয়েছে যাতে বলা হয়েছে পুজো চলাকালীন কোনওদিন দুপুর বারোটা, আবার কোনওদিন দুপুর দু’টো থেকে চন্দননগরে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নো এন্ট্রি থাকবে। অন্যদিকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে নো এন্ট্রি সংক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কাছে এসে পৌঁছেছে। এই নোটিফিকেশনের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের ওই অডিও ক্লিপের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির। তাই এই নো এন্ট্রি নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত তাঁরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে তারা নো এন্ট্রি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন নির্দেশ নামা অনুসরণ করবেন এই বিষয়ে জানালে ভাল হয়। তবে দীর্ঘ দুই বছর বাদে চন্দননগরের মানুষ ফের উৎসবের মেজাজে। তাঁরা কোনও অবস্থাতেই এই উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চান না। অনেকেই জানিয়েছেন এ বছর তারা বাইরে বেড়াতে পর্যন্ত যাননি শুধু এই জগদ্ধাত্রী পুজোয় আনন্দ করবেন বলে।

[আরও পড়ুন: ঝালদায় ইস্তফা তৃণমূল কাউন্সিলরের, দলবদলের অঙ্কে শাসকদলের হাতছাড়া আরও ১ পুরসভা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement