ছবি: প্রতীকী।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাজ্যে তীব্র গরমে ফের প্রাণহানি। পুরুলিয়ার (Purulia) মৃত্যু হল এক গর্ভবতী মহিলার।এই ঘটনায় ফের উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যের দাবদাহ পরিস্থিতি নিয়ে। এ নিয়ে চলতি গ্রীষ্মের মরশুমে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪। চলতি সপ্তাহেই এই গরম থেকে রেহাই নেই। আর রাঢ়বঙ্গ তো কার্যত জ্বলছে। বৃহস্পতিবার এখানকার তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সানস্ট্রোকে (Sun Stroke)আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঘটনা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার পুঞ্চার ন’পাড়া গ্রামের গৃহবধূ বছর বাইশের চৈতালি মাহাতো পুরুলিয়া শহরে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তার আগেই সানস্ট্রোকে মৃত্যু হল তাঁর। এদিন মৃতের স্বামী মনোজ মাহাতো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসে রোদে কিছুটা ঘুরতে হয়েছিল তাঁদের। এরপর খাওয়ার জন্য একটি হোটেলে যান তাঁরা। রোদে ঘুরে শরীর খারাপ লাগছিল চৈতালির। হোটেলে ঢুকেই হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে চৈতালিকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ধারণা, চৈতালিদেবী সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাতেই প্রাণ হারান।
বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র গরমে কার্যত হাসফাঁস দশা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া অবশ্য এতটা অসহনীয় নয়। সেখানে মাঝেমধ্যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু টানা প্রায় ২ মাস হয়ে গেল দক্ষিণে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি নেই, কালবৈশাখী তো এখনও অনাগত। এদিকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই চড়ছে। চল্লিশের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে গত সপ্তাহ থেকেই। সুস্থ থাকার জন্য নানা পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে সেসব মেনেও পুরোপুরি নিরাপদে থাকা যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই দিনের বেলায় রাস্তায় বেরিয়ে সূর্যের চোখরাঙানি এবং গরম হাওয়ায় জোড়া ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন কয়েকজন। কখনও প্রৌঢ়, কখনও আবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এর শিকার। আর এবার প্রাণ হারালেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ (Pregnant Woman)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.