সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া : সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির মোকাবিলা করতে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাস্তায় নেমে আন্দোলন, জনসংযেোগের পাশাপাশি এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই উদ্যোগের নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোর। এবার তৃণমূল বিধায়কদের ফেসবুক পেজ খুলে পঁচিশ হাজার ফ্যান ও ফলোয়ার্সের টার্গেট বেঁধে দিলেন তিনি। এই নির্দেশিকা মেলার পরই পুরুলিয়ার সাত তৃণমূল বিধায়কই এই ফেসবুক পেজ খুলেছেন। তবে জেলার সব তৃণমূল বিধায়ক এই সোশ্যাল সাইটে সড়গড় নন।
তবে তাঁরা প্রশান্ত কিশোরের টিমের নির্দেশ মেনে সোশ্যাল সাইটে তাঁদের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি-সহ নানা অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করছেন। সব মিলিয়ে সোশ্যা সাইটের মাধ্যমে শাসকদলের প্রচারকে আরও তুঙ্গে তুলতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল। তবে, নিচু তলার কর্মীদের অভিযোগ, দলের তরফে সঠিক কোনও গাইডলাইন না বেঁধে দেওয়ার জন্যই এই সোশ্যাল সাইটের প্রচারে তাঁরা থমকে যাচ্ছেন।পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর ফেসবুক পেজে এই জেলার বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফ্যান ও ফলোয়ার্স। ইতিমধ্যেই তা ৬,৮৮৮ ছুঁয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, “দলের কথা সোশাল সাইটের মাধ্যমে প্রচার করার শাখাকেও আমরা জোরদার করছি। এই বিষয়ে গুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” ‘দিদিকে বলো’-র জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য-ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু বলেন, “সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে জনসংযোগকে আরও মজবুত করতে প্রশান্ত কিশোর সকল বিধায়কদের ফেসবুক পেজ খুলতে বলেন। সেই নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই তা কার্যকর করছেন জেলার বিধায়করা।”
এই জেলায় মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর পরই বিধায়কদের মধ্যে ফ্যান ও ফলোয়ার্সের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। তাঁর ফেসবুক পেজে ফলোয়ার্স রয়েছে ১,৫০০। পুরুলিয়ায় সোশ্যাল সাইটে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় কাশীপুর ব্লক তৃণমূল। তাঁদের ফেসবুক পেজের পাশাপাশি একাধিক হোয়াটস গ্রুপ করেও প্রচার চলছে। কাশীপুরের বাসিন্দা জেলা যুব তৃণমূলের নেতা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “মানুষের কাছে সবচেয়ে সহজভাবে পৌঁছনোর মাধ্যম এই সোশ্যাল সাইট। তাই দলের প্রচারের কাজে এই প্ল্যাটফর্মকে দারুণ ভাবে কাজে লাগাতে হবে। সেইজন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণও দরকার।”
তৃতীয় স্থানে আছেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। তাঁর ফ্যান ও ফলোয়ার্সের সংখ্যা ৬৫৬ জন। এরপরে রয়েছেন বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেণ। তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা ৩৯২। পাড়ার উমাপদ বাউরির ২২০। রঘুনাথপুরের পূর্ণচন্দ্র বাউরির ২২। সবচেয়ে কম জয়পুরের বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতোর। সংখ্যাটা মাত্র এক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.