সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। সাফ কথা, “বিজেপি বাংলায় ১০০-এর বেশি আসন পেলে ভোটকুশলীর কাজই ছেড়ে দেব।” নিজের সংস্থা আই প্যাক ছেড়ে দেওয়ারও কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পিকের চ্যালেঞ্জ, “শুভেন্দু অধিকারী কত বড় নেতা, তা ২ মে-র পরে বোঝা যাবে।”
বাংলার নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। আগাগোড়াই তিনি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের আসন দুই অঙ্কও পেরতে পারবে না। আর যদি এই ‘অঘটন’ ঘটে তবে নিজের পেশাই নাকি বদলে ফেলবেন পিকে। এর মাঝে বেসরকারি বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেখান থেকেই ফের একবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন পিকে।
প্রশান্ত কিশোরের কথায়, “বাংলায় বিজেপির আসন ১০০ পেরবে না। আর যদি পেরয় তাহলে ভোটকুশলীর পেশা ছেড়ে দেব। আই প্যাকও ছেড়ে দেব। বিজেপি জিতলে পেশাই বদলে ফেলব। আপনারা আরও কোনও ভোটপ্রচারে আমাকে দেখতে পাবেন না।” তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির সামনে মুখ থুবরে পড়েছিল সপা-বিএসপি-কংগ্রেসের মহাজোট। কেন এমনটা ঘটেছিল, এদিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
পিকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, “আমি উত্তরপ্রদেশে হেরেছিলাম কারণ ওখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আমার কথা মতো চলেনি। বাংলা নিয়ে এমন কোনও অভিযোগ নেই। কারণ দিদি আমাকে কাজ করার যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন। এর পরেও যদি বাংলার নির্বাচনে আমি হেরে যাই, তাহলে বুঝতে হবে আমি আদৌ এই কাজের যোগ্য নই।” তবে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দলের কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন ভোটকুশলী। আর এই কোন্দলকে বিজেপি খুব ভালভাবে ব্যবহার করতে জানে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। একমাত্র এই উপায়ে গেরুয়া শিবির বাংলা দখল করতে পারে বলেও জানিয়েছেন পিকে।
বিজেপি নেতৃত্ব বারবার বলছে, তারা এ রাজ্যে দুশোর বেশি আসন পাবে। এ প্রসঙ্গে পিকের প্রতিক্রিয়া, “বাংলায় তারা আসছে, এই হাওয়া তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। মূলত তৃণমূলের অন্দরে ফাটল আর আতঙ্ক তৈরি করতেই এই কাজ করছে গেরুয়া শিবির। তবে শুধুমাত্র ফাঁকা আওয়াজ করে ভোট জেতা সম্ভব নয়।”
অন্যদিকে বারবার অভিযোগ উঠেছে প্রশান্ত কিশোরের জন্য নাকি বহু তৃণমূল নেতা দল ছেড়েছেন। এই অভিযোগ উড়িয়ে পিকের সাফাই, “আমি এখানে বন্ধু বানাতে আসিনি। তৃণমূলকে জেতাতে এসেছি। সেই কাজ করতে গেলে কোনও কোনও নেতাকে পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কিন্তু এটা সত্যি নয়।” শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে পিকের দাবি, ওঁকে বেশিই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২ মে যাক, তার পর দেখা যাবে উনি কত বড় নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.