ফাইল ছবি।
দেব গোস্বামী, বোলপুর: বছর চারেক ধরে ঐতিহ্যে ছেদ পড়েছিল। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা ফের ফিরছে আপন সংস্কৃতি সঙ্গে নিয়ে। এবছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উদ্যোগে পূর্বপল্লির মাঠে হবে পৌষ মেলা হবে, তা নিশ্চিত করা হয়েছিল আগেই। এবার প্রস্তুতি শুরু হল। সোমবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এনিয়ে বৈঠক হয়ে গেল। জেলা প্রশাসন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা আলোচনায় বসেন। ঠিক হয়েছে, ৬ দিনের মেলা হবে এবার। তার পরের দুদিনের মধ্যে মেলার মাঠ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
২০১৯ সালের পর শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। সোমবার বীরভূম জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গেল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কক্ষে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়, বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল, বিশ্বভারতীর কর্মসূচি ও অশোক মাহাতো। এছাড়াও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট-সহ অন্যান্যরা। ঠিক হয়েছে, পূর্বপল্লির মাঠে হবে ৬ দিনের পৌষ মেলা। রীতি-ঐতিহ্য মেনে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী মেলার আয়োজন করবে। জেলা প্রশাসন সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে। জল, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা-সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বোলপুর পুরসভা ও শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের বক্তব্য, ”বিশ্বভারতীর একাংশের কারণেই চার বছর ধরে মেলা করতে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তবে এবছর আমরা সবাই সহযোগিতা করব বলে কথা দিয়েছি। এবছর বিশ্বভারতীই মেলা করছে। জল, বিদ্যুৎ-সহ যা যা দরকার, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাই মিলে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য মেনে এবার পৌষমেলা হবে।” ৬ দিনের মেলার পরের দুদিন গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে মেলার মাঠ পরিষ্কার করে দিতে হবে। এদিনের বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.