ছবি: ফাইল।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: নজিরবিহীন অশান্তির মাঝেও ছেদ পড়ছে না ঐতিহ্যে। এ বছরও বিশ্বভারতীতে পৌষমেলা হবে নির্দিষ্ট সূচি ও নিয়ম মেনেই। আজ ভারচুয়াল বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) কর্তৃপক্ষ। তবে এ বছর মেলার আয়োজনে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা ঘিরেই সম্প্রতি নজিরবিহীন অশান্তির মুখে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছে। প্রায় প্রতিদিনই এ নিয়ে নতুন বিতর্ক, সমালোচনা চলছে। এর মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত কর্মসূচি স্থির করতে শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে শামিল হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, অধ্যাপক ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, এ বছরও পৌষমেলা হবে। তাতে কোনও ছেদ পড়বে না। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে চারদিন মেলা হবে। তবে এ বছর কেন্দ্র যেন এই মেলার আয়োজনে সাহায্য করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই আবেদন জানানো হবে কেন্দ্রকে। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। তাতে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পৌষমেলা নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তরও মত, কেন্দ্র দায়িত্ব নিয়ে মেলা করুক। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে সবটা সামলে ওঠা খুব কঠিন, প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এদিন সংবাদ প্রতিদিনকে টেলিফোনে তিনি জানান, ”আগের বছরও আমি পৌষমেলার আয়োজনে কেন্দ্রীয় সাহায্যের কথা বলেছিলাম। আমার মতে, কেন্দ্র দায়িত্ব নিয়ে মেলা করুক। মেলা তো ঐতিহ্যের, এটা বন্ধ করা যায় না। কিন্তু এত বড় মেলা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের পক্ষে সামলানো খুব কঠিন। তাঁরা হিমশিম খান। তাই কেন্দ্র যদি এ বিষয়ে দায়িত্ব নেয়, ভাল হয়।” কেন্দ্র দায়িত্ব নিলে কি মেলা আগের মতো ৭দিন করা সম্ভব? তা নিয়ে অবশ্য স্বপনবাবু আলাদা করে কিছু বলতে চাননি। সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্র এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বলে জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.