Advertisement
Advertisement

Breaking News

পঞ্চাশ কেজি ৯০ টাকায়! মাইকে ঘোষণা করে চলছে আলুর ‘সেল’

কেন এত সস্তায় বিক্রি হচ্ছে আলু?

Potatoes on sale in Domkal
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 10, 2018 9:05 am
  • Updated:December 10, 2018 9:05 am  

অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: পঞ্চাশ কেজি আলু মাত্র ৯০ টাকায়! ভাবা যায়! কিন্তু এমনই দরে বিক্রি হচ্ছে বস্তা ভরতি আলু। রানিনগরের পাড়ায় পাড়ায় রবিবার এই ছবিই ধরা পড়ল। কিন্তু কারণ কী? জানা গিয়েছে, অধিক লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী মেয়াদের শেষের দিন পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলেন। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ নভেম্বর। তারপর পড়ে থাকা সব আলু বের করে দেওয়া হয়েছে কোল্ড স্টোরেজ থেকে। বাজারে এসে গিয়েছে নতুন আলুও। ফলে সেই ‘বের করে দেওয়া’ আলু লরি বোঝাই করে এখন গ্রামে গ্রামে ফেরি করা হচ্ছে। মাইক লাগিয়ে রীতিমতো ‘সেল’ চলছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে। এই সব আলু আনা হয়েছে বর্ধমান এবং বীরভূম থেকে।

[অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন ক্ষুব্ধ সাংসদ কল্যাণ]

রবিবার রানিনগরের কাতলামারি ও চর শিবনগরের দিকে ভাগ হয়ে দুটো পৃথক পৃথক আলু ভরতি ছ’চাকার লরি ঢুকেছে। বিক্রতাদের কথায়, ফেলে দেওয়ার থেকে যদি কিছু আসে তাই শেষ চেষ্টা। ক’দিন আগেও পুরাতন আলু বাজারে পাইকারি আট থেকে দশ টাকা, মানে এক বস্তা আলুর দাম চারশো থেকে সাড়ে চারশো টাকা ছিল। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ার কারণ কী? উত্তরে ডোমকল কোল্ড
ষ্টোরেজের মালিক আবদুল আলিম বাপি জানান, “সরকারি নিয়মে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখা যায়। এরপর স্টোর থেকে আলু না তুললে তা বের করে দেওয়াই নিয়ম। অনেক ব্যবসায়ী বা কৃষক অতিরিক্ত মুনাফার আশায় তাঁদের আলু বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে রেখেছিলেন। তবে তা সময়ে না তোলায় মেয়াদ অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। আর সেই আলু বের করে দেওয়াতেই এখন তাঁরা ফেরি করছেন অল্প দামে। কারণ ইতিমধ্যেই বাজারে নতুন আলু চলে এসেছে। এতে আসল তো দূরের কথা, বিক্রেতাদের অর্ধেক টাকাও উঠছে না।” জানা গিয়েছে, বাজারে যে সব আলু বিক্রি হচ্ছে, তা বর্ধমান নয়তো বীরভূম থেকে আনা হয়েছে। ছ’চাকার লরিতে ৩০০ বস্তা আলু থাকে। ৯০ টাকা করে বিক্রি করলে উঠবে ২৭ হাজার টাকা। এর থেকে লরি ভাড়া বাদ যাবে বস্তা পিছু ৩০ টাকা, অর্থাৎ ৯ হাজার টাকা। আবার কোল্ড স্টোরেজের ভাড়াও ৯ হাজার। এরপর অন্য খরচ বাদ দিলে বস্তা পিছু ৩০ টাকা মানে লরিতে ৯ হাজার টাকাও ঘরে উঠছে না।

Advertisement

লরি ভরতি আলুর লাল বস্তায় বিভিন্ন মালিকের নাম। লরির মাথায় বাঁধা মাইক। গ্রামের পথে লরির কেবিন থেকে তারস্বরে চিৎকার করে চলেছেন এক ব্যক্তি। বলছেন, “সেল, সেল। আলুর সেল। আসুন। তাড়াতাড়ি আসুন। এক বস্তা আলু কিনুন মাত্র নব্বই টাকায়।” মাইকের প্রচার শুনে অনেকে এগিয়ে আসছেন। কেউ কিনছেন তো কেউ ভাবছেন এক বস্তা মানে পঞ্চাশ কেজি আলু। মানে ৯০ টাকায় দেড়মাস চলে যাবে। তবে মনের মধ্যে প্রশ্ন, ততদিন এই পুরনো আলু খাওয়া যাবে তো? তবে প্রশ্ন যাই থাকুক, লরিতে করে আলুর ফেরি করা দেখে বেশ অবাক গ্রামবাসীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement