Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুল নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ভিডিও পোস্ট, বহিষ্কৃত একাদশ শ্রেণির ৭ ছাত্র

ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷

Posting funny videos in school,expel class XI student

প্রতীকী ছবি৷

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:August 26, 2018 9:41 pm
  • Updated:August 26, 2018 9:41 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্কুলে মজা করতে গিয়ে বিপাকে জেলা স্কুলের সাত পড়ুয়া। পরীক্ষার হলে নকল, হাসি-ঠাট্টা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্রূপের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে মাসুল গুনতে  হল সাত পড়ুয়াকে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই সাত ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ ছাত্র ও তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের সাত পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর৷

[দরিদ্রদের জন্য ‘ভগবানের দোকান’ খুললেন দেবলীনা-তথাগত]

শুধু বহিষ্কারই নয়, তাদের মধ্যে চারজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন সাহা জানান, শুধু একটি অপরাধ নয়, কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের নিয়ম মানছিল না। এছাড়া ছবি আপলোড করে বেশ কিছু বিধি ভেঙেছে ওই ছাত্ররা। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, ছাত্ররা ভুল করতে পারে। কিন্তু, তাদের অপরাধ বিবেচনা করা দরকার। যদিও, প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে তাকে কিছু জানাননি বলেও জানান জেলাপ্রশাসক৷

Advertisement

ছাত্রদের দাবি, স্কুলে মজা করতে গিয়ে ছোট্ট একটি ভিডিও তৈরি করে সাত পড়ুয়া৷ পরীক্ষার হলে নকল করা থেকে শুরু করে, হাসি-ঠাট্টা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্রূপ মন্তব্য করে একটি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে একাদশ শ্রেণির সাত পড়ুয়া৷ ভিডিও আপলোড হতেই সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ে৷ আর তাতেই খেপে যান শিক্ষকরা৷ ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের ডাকা হয়৷ সেখানেই তাঁদের অপমান করা হয় বলে অভিযোগ৷ স্কুলের তরফে জানানো হয়, এই সাত ছাত্র স্কুলের বদনাম করতেই পরিকল্পনা মাফিক এই কাজ করেছে৷ এর পরই তাদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷

[হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের রাখি পরিয়ে ‘গান্ধীগিরি’, সুরক্ষার পাঠ বিডিও-র]

প্রধান শিক্ষক চন্দন সাহা জানান, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মজা করতে গিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গ দিয়েছে। তাদের পুজোর ছুটির আগের দিন পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকিরা এর আগেও বেশ কয়েকবার মুচলেকা দিয়েছে আচরণ বিধি ভাঙার কারণে। যদিও তাদের উপর নজরদারি রাখতে প্রতিমাসে হাজিরার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্রদের জীবন থেকে একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হওয়ার শাস্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, প্রয়োজনে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement