সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সন্দেশখালিতে বেশ চাপে বিজেপি। তারই মাঝে এবার প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দর। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে পড়েছে একাধিক পোস্টার। বিজেপি নেতার তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁত রয়েছে বলেই অভিযোগ। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে গঙ্গাধর কয়ালকে ফাঁসিয়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।
ওই পোস্টারে বসিরহাটের বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্টারে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে তাঁর। বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ পরিকল্পনা করে সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে ফাঁসিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক পোস্টারে। শনিবার সকালে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, রামপুর, ধামাখালি-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়।
পোস্টারের নিচে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শান্তনু পাইকের নাম লেখা রয়েছে। যদিও নিজের নাম লেখা এই পোস্টারের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ শান্তনুবাবু। এসব তৃণমূলের পরিকল্পনা বলেই দাবি তাঁর। তিনি আরও বলেন, “গেরুয়া শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরির জন্য এসব পোস্টার দিয়েছে বিজেপি।” উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি স্টিং ভিডিও। যা সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে যা রটেছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ওই ভিডিওতে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালির ‘ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো’। তাঁর দাবি, পুরো বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। ‘খালি হাতে নয়’, টাকা-মদের বিনিময়ে এই সমস্ত কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও ভিডিওতে দাবি করেছেন তিনি। এই ভিডিওতে হাতিয়ার করেছে শাসকদল। এদিকে, বিজেপির দাবি এই ভিডিও সম্পূর্ণ ভুয়ো। এই টানাপোড়েনের মাঝে সন্দেশখালিতে এমন পোস্টার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.