বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রানাঘাট পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে রবিবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা শহরে। এদিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় পোস্টার, যাতে রানাঘাটের পুর প্রশাসক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ওরফে বাবু চট্টোপাধ্যায়কে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘বিজেপি সমর্থনকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কে বা কারা এ ধরনের পোস্টার দিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
করোনা (Coronavirus) কালে যথাসময়ে পুরসভা ভোট হয়নি এ রাজ্যে। পুরসভার চেয়ারম্যানদের প্রশাসক পদে বসিয়ে, আইন মেনে তাঁদের অধীনে আগের বোর্ডের ভার দিয়ে আপাতত নাগরিক পরিষেবা প্রদানের কাজ চলছে। এ বছর বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট হবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় এখনও। এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি পুরসভার মুখ্য প্রশাসকদের বিরুদ্ধেই উঠছে একাধিক অভিযোগ। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতি কাঁথি পুরসভায়। আচমকাই কাঁথির পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে, অপসারিত হয়েছে প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। নতুন প্রশাসক হিসেবে সিদ্ধার্থ মাইতির দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে এখনও জটিলতা কাটেনি।
এই পরিস্থিতিতে এবার রানাঘাট পুরসভার (Ranaghat Municipality) প্রশাসককে নিয়েও বিরোধিতা স্পষ্ট হল পোস্টারে। রবিবার সকালে উদ্ধার হওয়া ওই ফ্লেক্স, পোস্টারের নিচে প্রশাসক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডাকনামে লেখা রয়েছে, ‘শহর যাতে দুর্নীতিমুক্ত থাকে, সেই কারণে বিজেপি সমর্থনকারী বাবু চট্টোপাধ্যায়কে আমরা চাই না।’ প্রায় গোটা শহরেই দেখা গিয়েছে এ ধরনের পোস্টার।
এই বিষয়ে পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”এই ধরনের ফ্লেক্স কালচার দীর্ঘদিন ধরেই রানাঘাটে চলছে। এটা নতুন কিছু নয়। এটা এক ধরনের নোংরামি। যারা এই কালচারের সঙ্গে যুক্ত, তাদের রানাঘাটের মানুষ ভালই চেনেন। আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।” আর বিজেপির রানাঘাট শহর সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের বক্তব্য, ”তৃণমূলের একাংশই এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপির কেউ এই কাজে জড়িত নয়।” পোস্টার কে বা কারা দিল, তা তো তদন্তসাপেক্ষ। তবে রানাঘাটের রাজনৈতিক অন্দরে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তাহলে কি ইনিও অপসারিত হওয়ার পথে? একুশের ভোটের আগে যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.