Advertisement
Advertisement

Breaking News

Posters against turncoat

‘মীরজাফরের স্থান নেই তৃণমূলে’, দলে ফেরার জল্পনার মাঝেই একাধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার

হাওড়ায় পথ নেমে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের।

Posters against turncoat Biswajit Das, Sunil Singh in North 24 Pargana । Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 14, 2021 12:43 pm
  • Updated:June 14, 2021 2:59 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী এবং অর্ণব দাস: রাজ্যজুড়ে বিজেপি (BJP) ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। মুকুল রায়ের দলবদলের পর থেকেই বহু বিধায়ক, নেতা-কর্মীই তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। এবার তাঁদের দলে ফেরানো নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই কোন্দল শুরু হয়েছে। কোথাও পোস্টার পড়ছে তো কোথাও আবার সরাসরি বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। যেমন সোমবার বাগদায় বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে পোস্টার (Posters) পড়ল। নোয়াপাড়ার বিজেপি প্রার্থী সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়েছে। হাওড়ায় আবার রাজীব বম্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সবমিলিয়ে দলত্যাগী নেতাদের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হতেই দলের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ।

সোমবার সকালে বাগদার হেলেঞ্চাতে থানার সামনে, রাস্তার ডিভাইডারে, বিভিন্ন দোকানের সামনে পোস্টার পড়ে। সেই পোস্টারে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে ‘মীরজাফর’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, “মীরজাফরের স্থান নেই তৃণমূলে। বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলত এখান থেকে। গরু পাচারকারী স্মাগলার বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে কোনও স্থান নেই।” পোস্টারের নিচে লেখা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ। যদিও এই পোস্টারের দায় নিতে চায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং বিজেপির ঘাড়েই এই পোস্টারের দায় চাপিয়েছেন বাগদা পশ্চিমের তৃণমূল সভাপতি অঘোরচন্দ্র হালদার। তিনি বলেন, “পোস্টার আমি দেখিনি। তবে আমাদের দলের কেউ এই পোস্টার দেয়নি। মনে হচ্ছে বিজেপি-র দলীয় কোন্দল এটা।” এ নিয়ে বাগদার বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সিআইডি’র নজরে এবার কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার, শীতলকুচি কাণ্ডে তলব]

এদিকে নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং তৃণমূলে যেতে পারেন এমন সম্ভাবনা তৈরি হতেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করেন গারুলিয়া তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি পঙ্কজ দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, “যদি সুনীল সিংকে তৃণমূলে নেওয়া হয় তাহলে তারা আন্দোলনে নামবেন।” এরপর রবিবার রাতেই এলাকার মানুষ সুনীলের বিরুদ্ধে পোস্টারে সাঁটিয়েছেন। যার কোনওটায় লেখা হয়েছে, “বাংলার দৈত্য সুনীল সিংকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না। কোনওটায় লেখা, “তোলাবাজ, দাঙ্গাবাজ সুনীল সিং”। যদিও দলছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন সুনীল সিং। 

 

একই ছবি হাওড়াতেও। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হতেই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া না হয়, তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই আবেদন জানিয়ে সোমবার ডোমজুড়ে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন এলাকাবাসীদের একাংশ। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন তাঁরা। সবমিলিয়ে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ঘর ওয়াপসি ঘিরে বিড়ম্বনায় দল। যদিও এই নেতাদের দলে ফেরানোর বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন: মদের আসরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বচসার মাঝেই চলল গুলি, নিহত ১ যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement