Advertisement
Advertisement
TMC

বিভীষণদের তাড়ানো হোক! বাঁকুড়ায় ‘ঘরশত্রু’ বহিষ্কারের দাবিতে পোস্টার TMC নেতাদের

এই জেলায় ১২টির মধ্যে মোটে চারটি আসন পেয়েছে তৃণমূল।

Posters against Trinamool Congress leaders appear at Bankura । Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 24, 2021 5:34 pm
  • Updated:June 24, 2021 5:42 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: একুশের ভোটে রাজ্যজুড়ে চোখ ধাঁধানো ফল করেছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু বাঁকুড়ায় (Bankura) মুখ থুবড়ে পড়েছিল শাসকদল। ১২টির মধ্যে মোটে চারটি আসন পায় তৃণমূল। এর জন্য দলের ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’দের দায়ী করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সেই সমস্ত নেতাদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় পোস্টার পড়ল।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় মাত্র ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। হাতছাড়া হয়েছে ৮টি আসন। তার পর থেকেই ‘ঘর শত্রু বিভীষণদের’ চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে সরব দলীয় নেতাকর্মীদের একাংশ। এবার সেই দাবি আরও জোরালো হল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লজ্জা! বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে সামাজিক বয়কটের মুখে বীরভূমের ১২ আদিবাসী পরিবার]

হাতছাড়া হওয়া আটটি বিধানসভা আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে শালতোড়া। এই আসনটিতে পরাজয়ের কারণে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বাউড়িকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। এই দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার শালতোড়া বিধানসভা এলাকাজুড়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারে ছয়লাপ দুর্লভপুর এলাকা। এই পোস্টার গিরে স্বাভাবিকভাবে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ প্রসঙ্গে স্বপন বাউড়ি বলেন, “এটা দলের লজ্জা। রাতের অন্ধকারে এ ধরনের পোস্টার তৃণমূলের নাম করে কারা দিয়েছে তার তদন্ত করা দেখা হোক।” জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়াল বলেন, পোস্টার দিয়েছে বিজেপি।

অন্যদিকে, এদিন প্রকাশ্যেই বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি কল্যাণ দে দলের বর্তমান জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। শ্যামল সাঁতরার কাছে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি জানান, “দলীয় বিষয়ে প্রকাশ্যে বলা যাবে না।” এদিকে সম্প্রতি দলের জেলা কোর কমিটির বৈঠক নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভোটের ফলাফল নিয়ে দিন তিনেক আগে জেলা কোর কমিটির বৈঠক হয়। এর পর জেলা কমিটির বৈঠকও হয়। কোর কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রাক্তন বামনেতা শেখর ভট্টাচার্য। ২০১৬ সালে তাঁকে বামফ্রন্ট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তৃণমূলে যোগ দেন শেখরবাবু। যাঁকে আবার ভোটের সময় দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযো। দলীয় বৈঠকে বিতর্কিত নেতার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কোর কমিটির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি।

[আরও পড়ুন: লজ্জা! বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে সামাজিক বয়কটের মুখে বীরভূমের ১২ আদিবাসী পরিবার]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement