নিজস্ব চিত্র
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বহু প্রতীক্ষিত রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। রাস্তার কাজটি শেষ হলে কলেজ, স্কুল-সহ ব্লক, সদর যাওয়ার মূল রাস্তার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হত। কিন্তু সেই কাজ শেষ হওয়ার আগেই মাঝ পথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বনদপ্তরের স্থানীয় রেঞ্জ অফিস। আর এতে ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। আর ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে ইতিমধ্যে তারা এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছে। যদিও স্থানীয় রেঞ্জ অফিস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বনদপ্তরের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হয়। অথচ কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। কিন্তু রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এতদিনে তাদের রাস্তার দাবি মিটছিল। কিন্তু সেই কাজও বন্ধ করে দেওয়া হল। ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, “আগে রাস্তা পরে ভোট।” পাশাপাশি শাল গাছ চুরির মতো ঘটনার প্রতিবাদও করা হয়েছে পোস্টারে।
বিনপুর ১ ব্লকের লালগড় গ্রামপঞ্চায়েতের চুনপাড়া থেকে দুর্লভপুর পর্যন্ত গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার মাটির রাস্তার পিচ করার কাজ লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্টেট ফান্ডের ৭৮ লক্ষ ১১ হাজার ৫১৪ টাকায় পিচ করার কাজ শুরু হয়। এই রাস্তাটি হলে ওই সব এলাকার মানুষ জন লালগড় সরকারি কলেজ, মডেল স্কুল, রাজকৃষ্ণ মিশন অতি সহজেই যেতে পারবেন। এছাড়া রাস্তাটি লালগড় ধরমপুর রাস্তার সাথে সংযোগ করে। ফলে গ্রামবাসীর অতি সহজেই লালগড় ব্লক সদরে আসতে পারবেন। ব্লক সদরে হাসপাতাল, বাজার সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আসার পথ মসৃণ হত। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক দিন আগেই লালগড় রেঞ্জ অফিসের পক্ষ থেকে রাস্তাটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। চুনপাড়ার দিকে রাস্তাটির বেশ কিছুটা হলেও দুর্লভপুরের দিকে কাজ হয়নি।
আর এইভাবে হঠাৎ করে বহু প্রতীক্ষিত রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া ক্ষুব্ধ মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্লভপুর গ্রামে প্রায় বারোশো ভোটার রয়েছে। ওই গ্রামের মানুষ জন এবার রাস্তার কাজ বন্ধ হওয়ায় তার প্রতিবাদে ভোট বয়কটের পথে। ওই সব পোস্টারগুলিতে বলা হয়েছে, “আগে রাস্তা পরে ভোট। লালগড় রেঞ্জার আমাদের গ্রামের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে। আমরা দুর্লভপুর গ্রামবাসীবৃন্দ লোকসভা ভোট বয়কট করছি।” এছাড়া শালগাছ কেন চুরি যাচ্ছে তার জবাব চাওয়া হয়েছে পোস্টারগুলিতে। এই বিষয়ে লালগড়ের রেঞ্জার লক্ষীকান্ত মাহাতো বলেন, “বনদপ্তরের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা হচ্ছে। অথচ যে দপ্তর ওই রাস্তা করছে তারা আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেয়নি বা আমাদের জানায়নি। তাই রাস্তার কাজ বন্ধ করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.