সুব্রত বিশ্বাস: সহকর্মীদের পদোন্নতি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে পনেরো লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল শ্রীরামপুর হেড পোস্ট অফিসের এক ইনস্পেক্টরের বিরূদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে তারকেশ্বর স্টেশনে প্রতারিত পোস্টাল কর্মীরা অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর চন্দ্রকান্ত পালধিকে ধরে ফেলেন। তারপরই শুরু হয় বচসা। স্টেশনে ঝামেলা করার জন্য তাঁদের আটক করে আরপিএফ। তারপর অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদের তারকেশ্বর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ধনেখালি পোস্ট অফিসের পোস্টাল এসিস্ট্যান্ট বিশ্বনাথ লোহার লিখিতভাবে আরপিএফের কাছে অভিযোগ করেন। সেখানে বলা হয়, অভিযুক্ত পোস্টাল ইন্সপেক্টর চন্দ্রকান্ত পালধি পোস্টালের জিডিএস কর্মীদের এমটিএস, পিএ, পোস্টম্যানের পদে উন্নীত করে দেবেন। এজন্য তাঁকে টাকা দিতে হবে। ধনেখালি পোস্ট অফিসের কর্মী বিশ্বনাথ লোহার পরিচিত-সহ কর্মীদের বিষয়টি জানালে সাতজন তাঁর মাধ্যমে ওই ইনস্পেক্টরকে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা দেন ২০১৯ সালে। পদোন্নতি না পেয়ে যেসব কর্মী টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা বিশ্বনাথের কাছে টাকা ফেরত চান। বিশ্বনাথের অভিযোগ, যেহেতু তিনিই টাকা তুলে দিয়েছিলেন তাই সহকর্মীরা তাঁকেই দায়ী করেন। আরামবাগ বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা বিশ্বনাথ হুগলির হেলান আটঘরা এলাকায় চন্দ্রকান্ত পালধির বাড়িতে প্রায়ই হানা দিতে থাকেন। পরিস্থিতি অনুধাবন করে চন্দ্রকান্ত গা ঢাকা দিচ্ছিলেন প্রতিবারই। মাঝে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা দেওয়ার নাম করেননি বলে অভিযোগ। মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ায় যোগাযোগ করতে পারছিলেন না প্রতারিতরা।
এদিকে টাকার জন্য চাপ বাড়াতে থাকেন প্রতারিত কামারপুকুরের শ্রীপুর পোস্ট অফিসের কর্মী তপজ্যোতি দে, নালিকুল দীঘি বাগনান পোস্ট অফিসের রাজশেখর ঘোষ, বড় দংগোলের সুদীপ আদকরা। এরমধ্যে যোগাযোগ হওয়ায় অভিযুক্ত চন্দ্রকান্ত পালধি মঙ্গলবার ছ’লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রতারিতদের তারকেশ্বর স্টেশনে ডেকে পাঠান। কিন্তু তিনি মাত্র চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা সঙ্গে অনায় অভিযোগকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অফিস টাইমে স্টেশনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হওয়ায় আরপিএফ ইন্সপেক্টর রণবীর কুমার ও এএসআই জয়ন্ত রায় উভয় তরফের প্রত্যেককে আটক করে। অভিযোগ পেয়ে ধৃতদের তারকেশ্বর থানার হাতে তুলে দেয়। থানা তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.