সুব্রত বিশ্বাস: আমফান ছাদ কেড়ে নেয়নি। তবে নিরাপত্তা হারিয়েছে। মোটা টাকা আবাসন ভাড়া দিয়েও চরম নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন লিলুয়া রেল আবাসনে বসবাসকারী কয়েক হাজার রেলকর্মী। কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন অসংখ্য প্রথম শ্রেণির রেল অফিসার। অভিযোগ, দুটি আশঙ্কায় তাঁদের ঘুম ছুটছে। এক, বিশাল আকারের সব গাছ ভেঙে বাংলো ও আবাসনের মধ্যে বিপজ্জনক ভাবে পড়েছে। ভেঙেছে পাঁচিল। ইলেক্ট্রিক পোস্ট উপরে পড়েছে আবাসনের মধ্যে। বিপজনক ভাবে ঝুলছে তার। যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে বিপদ। আবাসনের পাঁচিল ভাঙ্গায় রয়েছে চুরির আশঙ্কা। দ্বিতীয়ত, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জমে রয়েছে জল। মশার উপদ্রব।
ডেঙ্গু আগেও হয়েছে, এখন নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবাসিকরা চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগ উদাসীন বলে আবাসিকদের অভিযোগ। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, ‘বিষয়টা আমাকে জানাননি লিলুয়ার চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার। যা উচিত ছিল। খোঁজ নিয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আবাসিকদের অভিযোগ, লকডাউনে স্বাস্থ্যদপ্তরের সাফাই কর্মীরা কাজ না করায় নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবস্থায় তাই। ঠিকাদাররাও মুখ ঘুরিয়ে আছে। তাঁদের অভিযোগ, রেল আগের টাকাই দেয়নি। কাজ করবে কী করে। শনিবার লিলুয়া আবাসন চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, ১১, ১২ গার্ডেনার রোডে শিয়ালদহের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, লিলুয়ার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বাংলোর ভিতরে মহীরুহ পড়ে রয়েছে। পাঁচিল ভেঙেছে। ২৪ নাম্বারে সিসিএমের বাংলোর একই পরিস্থিতি, জেনিনস রোডে বিশাল গাছ বিপজ্জনক ভাবে হেলে রয়েছে।
বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে তার ঝুলে রয়েছে। পিয়ার্স রোডের একই অবস্থা। লিলুয়া বড় গেট, ওয়ার্কশপে জল জমে রয়েছে। রাস্তায় কর্মীদের হাজার হাজার বাইক, সাইকেল জড়ো করে রাখা। কর্মীদের অভিযোগ, বাইক আগে শপে ঢোকানোর নির্দেশ ছিল। এখন ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে চুরির মতো ঘটনা অমূলক নয়। আইওডব্লু থেকে এইএন কেউই কাজে না আসায় বিপত্তি বাড়ছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্তাদের কথায়, এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যাবেনা। বেতনের ২৪ শতাংশ ঘর ভাড়া কাটে রেল। এই মোটা টাকা গুনে নিরাপত্তা পাবেন না তা হয়না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবাসিকদের ক্ষোভ, মুখে আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.