সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক সরকারি উদ্যোগে বাড়ি ফিরছেন। এবার থেকে তাঁরা আক্রান্ত কি না নিশ্চিত হতে সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ‘পুলিং অফ স্যাম্পলিং’ পদ্ধতিতে। এর ফলে একসঙ্গে পাঁচজনের নমুনা করোনা পরীক্ষা হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট এলে পাঁচজনই নিশ্চিত হবেন আক্রান্ত নন। আর পজিটিভ এলে তখন পৃথকভাবে পাঁচজনের আবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে। এর ফলে কম সময়ে অনেক মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। খরচও কমে যাবে।
পূর্ব বর্ধমানে অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দা জানান, পুলিং অফ স্যাম্পলিং পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তাঁর কথায়, করোনা পরীক্ষার পর খুব কম জনরেই পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। নয়া পদ্ধতিতে করলে কম সময়ে বেশি জনের পরীক্ষা করানো সম্ভব হবে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি উদ্যোগে এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৮০০ জন ঘরে ফিরেছেন। ১০ মে পর্যন্ত হিসেবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৯৮ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৬৬ জন, পুরুলিয়া থেকে ৩৫ জন ফিরেছেন। এছাড়া আরও অনেক জেলা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন। পাশাপাশি, রাজস্থান, বিহার, ওড়িশা, বেঙ্গালুরু থেকেই কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, চিকিৎসা করাতে যাওয়া মানুজন ফিরেছেন।
অতিরিক্ত জেলা শাসক জানান, ফেরার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তাঁদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। করোনা লক্ষ্মণযুক্ত হলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। আর লক্ষ্মযুক্ত না হলে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। এবার পুলিং অফ স্যাম্পলিং পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.