সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কিছুদিন আগে করোনা সচেতনতায় এক টোটো চালকের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। টোটো যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে পলিথিনের ব্যারিয়ার তৈরি করা দেখে প্রশংসা করেছিলেন দেশের অন্যতম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। সেই টোটো চালকের পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন বর্ধমানের বেশ কিছু বাস মালিকও। বাসের সব সিটেই দু’জন যাত্রী। যাতে কোনওভাবেই একজন যাত্রীর শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে কোনও ভাইরাস পাশে বসা যাত্রীর মধ্যে সংক্রমিত না হয়, তাই তাঁদের মধ্যে পলিথিনের চাদরের পাঁচিল তুলে দিয়েছেন বাস মালিকরা।
লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়ে সরকারি বিধি মেনে বেসরকারি বাস পথে নামছে। তবে সংখ্যাটা বেস কম। আবার যে সব বাস চলছে তাতে যাত্রীও কম। সরকারি নিয়ম মেনে বাসে আসন সংখ্যার যাত্রীই তুলছেন বাসের ড্রাইভার ও কন্ডাকটররা। বাস স্যানিটাইজও করছেন নিয়ম মেনে। মাস্ক থাকলে তবেই যাত্রীকে বাসে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়েও যাত্রী সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন বর্ধমানের বেশ কিছু মাস মালিক ও সংগঠন। বাসের সিটে পলিথিনের চাদরের মাধ্যমে পৃথক করে রাখা হয়েছে। বুধবার বর্ধমানের নলা থেকে আলিশা পর্যন্ত চলাচলকারী একটি টাউন সার্ভিস বাসে যাত্রীদের পলিথিনের শিটের মাধ্যমে আলাদা হয়ে বসতে দেখা গেল। খুশি যাত্রীরাও।
যাত্রী অমরেন্দ্র রায়, শান্তি ঘোষদের কথায়, “যতই লকডাউন উঠে যাক। এখনও করোনা নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। এইভাবে সুরক্ষা থাকলে বাসে উঠতে ভয় লাগবে না।” টাউন সার্ভিস বাস মালিক সংগঠনের অন্যতম কর্তা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি নির্দেশ বাস চালাতে হচ্ছে। যাত্রী কম। তাই বাস চালিয়ে লোকসান হচ্ছে। তা সত্ত্বেও আমরা যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে কোনও খামতি রাখতে চাই না। তাই এইভাবে বেশ কয়েকটি বাসে পাশাপাশি বসা দুই যাত্রীর মাঝে পলিথিনের চাদর রাখা হয়েছে। যাতে একজনের শ্বাস-প্রশ্বাস অন্যজনের কাছে যেতে না পারে। ফলে করোনা সংক্রমণের ভয়ও থাকবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.