শুভঙ্কর বসু: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) পরামর্শকে মান্যতা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অতিমারী আবহে পিছিয়ে গেল ৪ পুরনিগমের নির্বাচন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন জানিয়েছে, ৪ পুরসভার ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি হতে পারে ভোট গণনা। আপাতত কোভিড নিয়ম মেনে চলতে পারে প্রচার। তবে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে।
মহামারী আবহে রাজ্যের ৪ পুরনিগমের (WB Civic Polls) নির্বাচন পিছনো কি সম্ভব? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এর মধ্যে শনিবারই রাজ্যের তরফে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়ে কমিশনে চিঠি পাঠায় নবান্ন-ও। তার পর ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগর – এই চার পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী মনোনয়ন জমা. প্রচার চলছিল জোরকদমে। এর মাঝেই রাজ্যজুড়ে ফের অতিমারীর আকার নেয় করোনা। হু হু করে বাড়তে শুরু করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করে রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক মামলা হয়। শুক্রবার সেই শুনানিতে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
পুরভোট পিছনোর দাবি নিয়ে একাধিক মামলার পর্যালোচনার পর শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে বলে, “আমাদের মতামত হল রাজ্যের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং নির্বাচন হতে যাওয়া চার পুরনিগমের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)।” আদালতের নির্দেশ, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তা জনস্বার্থের পক্ষে হিতকর হবে নাকি তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং নির্বাচন চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। রাজ্যের সবুজ সংকেত মিলতেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.