প্রতীকী ছবি।
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, দার্জিলিং: কিছুটা পথ গাড়িতে। এর পর ইভিএম মেশিন, মালপত্র খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে পাহাড়ি রাস্তা ধরে হাঁটা পথ। এই ভাবেই রাম্মাম বনবস্তি প্রাইমারি স্কুলের বুথে পৌঁছবেন ভোট কর্মীরা। এটা একটা উদারণ মাত্র। দার্জিলিং লোকসভা (Darjeeling Lok Sabha) কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি বুথে দুর্গম পথ পেরিয়ে ভোট করাতে যেতে হবে কর্মীদের। পাহাড় ঘেরা এই লোকসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন সৌরেনী বনবস্তি বুথে। সেখানেও পৌঁছতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হবে কর্মীদের।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের রাম্মাম বনবস্তি প্রাইমারি স্কুলের বুথে ভোটদাতার সংখ্যা খুব বেশি নয়। শৈল শহর দার্জিলিং থেকে এই জায়গার দূরত্ব মাত্র ৬৫ কিলোমিটার। তবে পথ দুর্গম। এই বুথে পৌঁছনের পথে পড়বে শ্রীখোলা। এই জায়গার পর আর কোনও গাড়ি উপরে ওঠবে না। ভরসা কেবল টাট্টুঘোড়া বা খচ্চর। প্রায় তিন ঘণ্টা পাহাড়ের চড়াই-উতরাই ট্রেক করে পড়বে ডারাগাও শ্রীখোলা বুথ। এর পরই রাম্মাম বনবস্তি প্রাইমারি স্কুল বুথ। এই বুথে রয়েছেন মাত্র ২০৯ জন ভোটার।
তবে সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন কালিম্পংয়ের (Kalimpong) সৌরেনী বনবস্তি বুথে। কালিম্পং শহর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কেরাম প্রাইমারি স্কুল বুথ। এখানে পৌঁছতে কিছুটা পথ গাড়িতে গিয়ে বাকি পথ হাটতে হবে ভোট কর্মীদের। সেখান থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে সবচেয়ে কম ভোটার থাকা সৌরেনী বনবস্তি বুথ। মাত্র ১০৫ জন ভোটদাতার জন্য ওই বুথ।
পাহাড়ে সবচেয়ে বড় বুথ কালিম্পংয়ের তনইয়ং ট্রাইবাল প্রাইমারি স্কুলে। তনইয়ং ট্রাইবাল প্রাইমারি স্কুল বুথে ভোটদাতা রয়েছেন ১ হাজার ৪২০ জন। নির্বাচন কমিশনের মতে এটাই পাহাড়ের সবচেয়ে বড় বুথ। দার্জিলিং লোকসভার মধ্যে সমতলেরও কিছুটা অংশ রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্সিগছ প্রাইমারি স্কুল বুথে রয়েছেন ২ হাজার ১৩ জন ভোটার। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ১ হাজার ৯৯৯টি বুথের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.