Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্দেশখালি

ন্যাজাটের ওই বুথে ১৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃনমূল, সংঘর্ষ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ডে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷

Poll backlash behind Nyajat, Sandeshkhali violence
Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 10, 2019 12:06 pm
  • Updated:June 10, 2019 12:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা ভোটের দাম কি মানুষের জীবনের চেয়েও বেশি? মাত্র ১৫০ ভোটের জন্যই কি অকালে চলে গেল তিন তিনটে তরতাজা প্রাণ? শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এই একটা প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বসিরহাট-সহ রাজ্য রাজনীতিতে৷

[ আরও পড়ুন: নদীর জলে ভেসে আসছে ট্যারান্টুলা! সতর্ক করল বনদপ্তর ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ সন্দেশখালির সমস্ত বুথেই লিড পেয়েছে শাসকদল৷ ব্যাতিক্রম ন্যাজেটের ওই একটি বুথ৷ সূত্রের খবর, কেবল ওই বুথেই ১৫০ ভোটে পিছিয়ে পড়েছে শাসকদল৷ এবং সেই পিছিয়ে পড়ার কারণ তল্লাশিতেই শনিবার দুপুরে ওই বুথের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ যেখান থেকে শনিবারের রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ যার ফলে প্রাণ গিয়েছে দুই বিজেপি ও এক তৃণমূল কর্মীর৷ দুই দলীয় কর্মীকে খুনের প্রতিবাদে সোমবার সমগ্র বসিরহাটজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ তিনদিন পরেও এলাকার পরিস্থিতি বেশ থমথমে৷ রাজ্যের একাধিক স্থানে পালিত হচ্ছে কালাদিবস৷ ২ জুন লালবাজার অভিযান কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির৷

এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে সন্দেশখালির সংঘর্ষ এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গিয়েছে৷ সোমবারই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মুখ্য আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে সন্দেশখালির ন্যাজাটের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাটি৷ এমনকী, প্রশাসনিক স্তরেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন বেড়েছে৷ রবিবারই এই ন্যাজাট কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ এরপর সরাসরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি৷ বিষয়টিকে মোটেই ভাল চোখে দেখেনি রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতিকরণের অভিযোগ করেছে শাসকদল৷

[ আরও পড়ুন: রাত নামলেই শহরে বাইক বাহিনীর তাণ্ডব, আতঙ্ক বনগাঁয় ]

অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, ওই বুথে ১৫০ ভোটে পরাজয় কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি শাসকদল৷ সেই কারণেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে পরিকল্পনা মাফিক হামলা করা হয়েছে৷ প্রথমে তাদের পতাকা খোলার চেষ্টা করেছে শাসকদলের কর্মীরা৷ বাধা দিলে এলোপাথাড়ি গুলি চালান হয়েছে৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের৷ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে পালটা হামলার অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ তাদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দলীয় কর্মী কায়ুম মোল্লার৷ এমন পরিস্থিতিতে যত সময় গড়াচ্ছে ততই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement