রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: চিনা বর্বরতায় শহিদ বিপুল রায়ের মরদেহে পুষ্পার্ঘ নিবেদন নিয়ে জারি রাজনৈতিক তরজা।জেলা প্রশাসনের তরফে বায়ুসেনা ছাউনিতে পাঠানো ই-মেলে কেন নাম রইল না আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার (John Barla) নাম, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি। জেলা প্রশাসন চক্রান্ত করে এমন কাজ করেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
২০০৩ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন বিপুল৷ ভাটিবাড়ি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেই সেনাতে নাম লেখান তিনি৷ অবসর নিয়ে এক বছর পরেই বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল বিপুলের৷ বছরে একবার করে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। তবে লকডাউনের জন্য এ বছর বাড়িতে আসতে পারেননি। কিন্তু তার মাঝেই এল দুঃসংবাদ। চিনা হামলায় শহিদ হন বিপুল রায়। যুদ্ধে বিপুলের প্রাণ হারানোর কথা এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছে না বিন্দিপাড়া। শহিদের বাড়ির পাশেই বিন্দিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরি হয়েছে শহিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ আসে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে পৌঁছয়। সেখান থেকে সড়কপথে বিন্দিপাড়া গ্রামে পৌঁছবে দেহ।
কথা ছিল হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে শহিদ বিপুল রায়ের মরদেহে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করবেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। জেলা প্রশাসনের কাছে ই-মেলও করেছিলেন। জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও জেলা প্রশাসনকে এই মর্মে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বায়ুসেনা ছাউনিতে যে নাম পাঠানো হয়েছে তাতে সাংসদের নাম নেই বলে অভিযোগ। প্রোটোকল অনুযায়ী সাংসদের নাম ওই তালিকায় থাকার কথা। কিন্তু জেলা প্রশাসনের তরফে তা মানা হয়নি বলেই দাবি বিজেপির। শহিদের মরদেহে পুষ্পার্ঘ নিবেদন নিয়ে জেলা প্রশাসনের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দায় সরব জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.