রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রীর তরফে নরেন্দ্র মোদিকে কুর্তা-মিষ্টি পাঠানো নিয়ে ভোটের মরশুমে বেশ তর্কবিতর্ক চলছে৷ সম্প্রতি অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে মোদিকে মিষ্টি এবং কুর্তা উপহার পাঠান, তা বলার মধ্যে আদৌ কতটা প্রাণখোলা প্রশংসা করেছিলেন, তা নিয়ে নানা মহলে উঠছে জল্পনা৷ মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরে তাঁকে দু’তিনবার বিখ্যাত মিষ্টি পাঠান৷ তা দেখেই মমতাও তাঁকে মিষ্টি পাঠান৷ তাহলে কি রাজনীতির দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে? এমন প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছিল৷ এসবের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বেশ বিব্রত হয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর৷
আর সেসব জল্পনায় জল ঢেলে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিউড়ির সভা থেকে এনিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন৷ তিনি বলেন, ‘কুর্তা-মিষ্টি পাঠালে দোষ কোথায়? সবাইকে তো মিষ্টি পাঠাই৷ শুধু মোদিই নন, আরও অনেককে উপহার পাঠাই৷ পয়লা বৈশাখে দিই, দুর্গা পুজোয় দিই৷ মোদিকে পাঠালে দোষ কোথায়? এসব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে৷’ তিনি আরও যোগ করলেন, মোদিকে মালদার বিখ্যাত আমও পাঠানো হয়৷ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি রাজনীতি করার অভিযোগই তুললেন৷ ফের বোঝালেন, শত্রুতা শুধুই রাজনীতির ময়দানেই৷ তার বাইরে সহমত হোক বা বিরুদ্ধমত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বজায় রাখতে হয় কীভাবে, তা অনেকেরই জানা নেই৷
বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ওঠার পর বঙ্গ রাজনীতিতে অবশ্য দেখা গেল ভিন্ন ছবি৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে৷ ভিন্ন সুরে তিনি জানালেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, ভাল করেছেন৷ রাজনীতিতে সৌজন্য বজায় রাখা দরকার৷ হিংসা যেন না থাকে৷ আমি সৌজন্যে বিশ্বাসী৷’ এতে রাজনীতির উত্তাপ আরও বাড়ল৷ আর ভোট বাজারে মমতা, মোদি আর মিষ্টি – এই সমীকরণ নতুন এক আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠল, তা বলাই বাহুল্য৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.