সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: করোনা যুদ্ধের ময়দানে সকলেই সহযোদ্ধা। একেকজন একেকভাবে অংশ নিচ্ছেন মারণ জীবাণুর সংক্রমণ রুখতে। তাতে শামিল রাজনীতিক থেকে প্রশাসনিক কর্তারাও। লকডাউনের সময়ে জনসাধারণকে নিয়ম মেনে ঘরে থাকার আবেদনের পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের আরজি, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করুন। তাতে সকলে মিলে রোগ মোকাবিলা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।
বুধবার ভিডিও বার্তায় এই আবেদন জানিয়েছিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, লকডাউন মেনে গৃহবন্দি থাকুন। এই সংকটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য সরকার তৈরি করেছে ২০০ কোটি টাকার তহবিল। তাতে সকলে যে যার সাধ্যমতো টাকা দিতে যাতে এগিয়ে আসেন, সেই আবেদনও জানিয়েছেন মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব। আর বৃহস্পতিবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যবাসীর কাছে। পাশাপাশি, লকডাউন মেনে চলার আরজি তাঁর।
করোনা মোকাবিলায় জনসচেনতার পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন অনেক রাজনীতিকই। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব প্রত্যেক সাংসদের তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা করে করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি তহবিলে দান করার আবেদন জানিয়েছে। একই আবেদন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। আর তাতে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। প্রথমে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৫০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন ত্রাণ তহবিলে। এরপর একে একে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদার, বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর-সহ একাধিক সাংসদ কোটি টাকা দান করেছেন।
পাশাপাশি, সিপিএম বিধায়করাও প্রত্যেকে ১০ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করেছেন করোনা মোকাবিলা নিয়ে তহবিলে। এদিকে, কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরিও নিজের একদিনের বেতন এবং সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। প্রদীপ ভট্টার্যও এগিয়ে এসেছেন সাহায্যে। রাজনীতি ভুলে, দলমত নির্বিশেষে এভাবেই করোনা যুদ্ধে শামিল সকলে। এই ঐক্যই সংকটকালের সবচেয়ে বড় জোর।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.