সৌরভ মাজি ও ধীমান রায়: ভোট মিটলেও অশান্তি অব্যাহত পূর্ব বর্ধমানে। কোথাও আক্রান্ত বিরোধীরা, তো কোথাও আবার পালটা প্রতিরোধের মুখে এ রাজ্যের শাসকদলও। মঙ্গলবার দিনভর তেতে রইল আউশগ্রাম। এদিকে বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলকোটে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। বর্ধমানের জামালপুরের জৌ গ্রামে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন রাজনৈতিক সংঘর্ষে। ঘটনার প্রতিবাদে ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতেও।
সোমবার ভোটগ্রহণ পর্বেই অশান্তি হয় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায়। বিভিন্ন গ্রামে বিরোধী দলের এজেন্ট ও কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতেও আউশগ্রামে সোমাইপুরে গ্রামে সংঘর্ষে জড়ান তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে রীতিমতো লাঠি হাতে তৃণমূল কর্মীরা কয়েকজন বিজেপি কর্মীর খোঁজ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। পালটা প্রতিরোধ করেন মহিলা-সহ গ্রামবাসীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জে আক্রান্ত হন এক সিপিএম নেতা। তৃণমূল কর্মীরা মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পাণ্ডুক গ্রামে আবার সেলুন কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মোরবাঁধে পালটা প্রতিরোধের মুখে পড়েন তৃণমূলকর্মীরা। অভিযোগ, তিনজন বিজেপি কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে পার্টি অফিসে আটকে রাখা হয়েছিল। প্রতিবাদে ওই পার্টি অফিস ও পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলা চালান বিজেপি কর্মীরা।
এদিকে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে ভোটের দিন স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভোটপ্রচারের সময়ে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তাতে ভয় না পেয়ে প্রচার চালিয়ে যান তাঁরা। তাই ভোটের দিনে আক্রান্ত হতে হয় বিজেপি কর্মীদের। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে মঙ্গলকোটের জালপাড়া বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধ চলে। শেষপর্যন্ত পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। এদিকে মঙ্গলকোট বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব।
[ মমতা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? তর্কে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.