Advertisement
Advertisement
আসানসোল

নিঃশব্দে মিটেছে ভোট, আসানসোলে ফল নিয়ে উদ্বেগে সবপক্ষই

গতবার এই কেন্দ্র থেকে ৭৪ হাজার ভোটে জিতেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।

Political parties speculating on Asansol Lok Sabha poll result
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:May 18, 2019 5:50 pm
  • Updated:May 18, 2019 5:50 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল:  ভোট হয়েছে নিঃশব্দে! কিন্তু চওড়া হাসি কেউ হাসতে পারছেন না। বুক ঠুকে কেউ বলতে পারছেন না, আমরাই জিতছি। থমথমে মুখ তৃণমূল নেতৃত্বের। উদ্বেগের ছাপ বিজেপি নেতাদের মুখেও। থম মেরে রয়েছে পার্টি অফিসগুলো। সন্ধ্যা হলেই পার্টি কর্মীদের চোখ টিভির দিকে। যদি কোনও এক্সিট পোল দেখা যায়। নিজেদের অঙ্কে বিশ্বাস নেই। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাই যেন ভরসা। আপ্যায়ন করে নিয়ে যাচ্ছেন পার্টি অফিসে। তারপরেই প্রশ্ন, ‘কী মনে হচ্ছে দাদা? আমরা জিতছি তো। দশ হাজার ভোটে হলেও জিতব, কী বলেন?’  তৃণমূল বা বিজেপি দুই পার্টি অফিসের চরিত্রগত একই মিল পাওয়া যাচ্ছে এবার। সিপিএম অবশ্য তৃণমূল-বিজেপির দ্বৈরথের ফাঁকতালে বাজিমাতের আশায়।

[আরও পড়ুন: শেষ দফার আগেও রাজনৈতিক উত্তেজনা, শাসকদলের সন্ত্রাসের শিকার বিরোধীরা]

তৃণমূলের ভরসা সংখ্যালঘু ভোট। তাঁরা নিশ্চিত ২৭ শতাংশ ভোটই পড়েছে জোড়াফুলে। অন্যদিকে, বিজেপির ভরসা বিহারি ভোট। এবার চর্চা সেটাই। প্রকাশ্যে বা কানাঘুষো হিন্দিভাষী ভোট নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল শিবির। মেয়র তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারিই এখানে তুরুপের তাস। এবার আসানসোলের ভোটে ছিল না মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জিএসটি, নোটবন্দি, ঊর্ধ্বমুখী গ্যাসের দামের মত ইস্যুগুলি। তৃণমূল মুখে উন্নয়নের কথা বললেও তা ছিল না জোরদার। শুধু বাবুলের পাঁচ বছরের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে ঘাসফুল শিবির। বিজেপির হাতিয়ার ছিল কয়লা চুরি, বালি মাফিয়া, তৃণমূল নেতাদের গুন্ডাগিরি ও তোলাবাজির মতো বিষয়।

Advertisement

ভোট প্রচারের সময় তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে ছিল মুনমুন সেন জিতবেন দুই লক্ষ ভোটে। কিন্তু ভোটের পর মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি দাবি করেন ৭০ হাজার ভোটে জিতছেন তাঁদের প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন বলেন, “আমি তো জিতছিই। তৃণমূলের পুরো টিম আমার সঙ্গে দারুণ কাজ করেছে। প্রচারে বেরিয়ে মানুষের চোখমুখ দেখে বুঝতে পেরেছি তাঁরা কী চাইছেন। এখানে একটাই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সবাই ভোট দিয়েছেন।” সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপি ও তৃণমূলের কেউ দ্বিতীয়স্থানে থাকবে। মানুষ সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন। কারণ মানুষ জানেন বাইরের কেউ নন, এলাকার ধস, শিল্প, সামাজিক সমস্যা নিয়ে সংসদে ভূমিপুত্রকেই পাঠানো উচিত। অন্যদিকে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেছেন, তাঁর জয় নিশ্চিত, তবে মার্জিন কমবে। 

২০১৪ র লোকসভা ভোটে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল থেকে জয় পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ভোটে। তৃণমূলের প্রার্থী দোলা সেনকে হারিয়েছিলেন তিনি। আসানসোলের সাতটি বিধানসভার মধ্যে জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ ও পাণ্ডবেশ্বর ছাড়া বাকিগুলিতে ব্যাপক ভোটে এগিয়ে ছিলেন বাবুল। রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিএমের ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়ায় বাবুল সুপ্রিয় জিতেছিলেন। তবে সিপিএম এবার আত্মবিশ্বাসী তারা তাদের ভোট নিজেদের দিকে ফিরিয়ে এনেছে। তৃণমূলের দাবি, প্রতিটি বিধানসভায় তারাই এগিয়ে থাকবেন।

[আরও পড়ুন: ফলের আগে সরগরম পুরুলিয়ার বেটিং বাজার, পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে লক্ষাধিক টাকার বাজি]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement