সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৌষমেলার মাঠে দেওয়া পাঁচিল ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তবে সেই ঘটনা নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এতদিন। পাঁচদিন পর বিশ্বভারতীয় সরকারি ওয়েবসাইটে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। রাজনৈতিক মদতেই এ কাণ্ড ঐতিহ্যমণ্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে বলেই দাবি তাঁর। বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। উপাচার্যের গলাতেও গেরুয়া শিবিরের মতো একই সুর শোনা যাচ্ছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলে।
উপাচার্য অভিযোগ করেন,“যারা রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের প্রতি ভালবাসার নাম করে পেশিশক্তির প্রয়োগে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে, তাদের জন্য চলতি বছরের ১৭ আগস্ট একটি লালপত্র দিবস। দুর্বৃত্তেরা কেবল তাদের রাজনৈতিক কর্তাদের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গুরুদেবের রেখে যাওয়া মহান ঐতিহ্যকে তারা ভূলুণ্ঠিত করেছে।’’
মেলার মাঠ কেন পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হল, সেই প্রশ্ন বারবার উঠেছে। সে বিষয়টি এদিন স্পষ্ট করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কবিগুরু জীবদ্দশাতেই চিনা ভবনের চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়। এছাড়াও বিশ্বভারতী বহু ক্ষেত্রে পাঁচিল ও বেড়া নির্মাণ করেছে নিরাপত্তার স্বার্থে। পুরনো পৌষমেলার মাঠ, আশ্রম মাঠ, শ্রীনিকেতন মাঠ, বিনয় ভবন প্রভৃতি বিশ্বভারতীর বহু এলাকা আগে পাঁচিল বা বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তখন কেউই তার প্রতিবাদ করেনি।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে উপাচার্য নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল তোলার কাজ করছিলেন। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশ রীতিমত পে-লোডার নিয়ে গিয়ে তা ভেঙে দেয়। পড়াশোনার মুক্ত পরিবেশে কেন পাঁচিল উঠবে, এই প্রশ্ন তুলেই ভেঙে ফেলা হয় নির্মাণ। এই ঘটনা ঘিরে এবার নজিরবিহীন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে দেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। সেই জল এখনই গড়িয়েছে অনেকটা দূর। ঘটনায় রাজনীতির রং লাগার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে (PMO) নালিশ ঠুকেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.