সৈকত মাইতি, তমলুক: রাজনৈতিক সংঘর্ষে দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত ময়নার বাকচা। এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে এলাকায় চলল গুলি, বোমা৷ পুড়ল বেশ কয়েকটি মোটরবাইক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি৷ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। এই ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী-সহ গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বাকচা এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবে দীর্ঘদিন ধরেই ঘরছাড়া ছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাঁরা বাকচার বেসিক স্কুল সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতি অমিত ভঞ্জের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রবিবার তাঁদের উপর হামলা চালায়। এলাকায় চলে গুলি ও বোমা৷ এমনকী, ওই দুষ্কৃতীরাই তৃণমূল কর্মীদের সাতটি বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ভোর থেকে চলা সংঘর্ষের খবর পেয়েই তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়৷ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। পালটা উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরে হামলা চালায়৷ ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি৷ সংঘর্ষে একজন তৃণমূল কর্মী-সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ময়না ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে৷’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি৷ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর থেকেই এলাকা দখলে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এদিনও ঠিক একইভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়।’’ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷
এই সংঘর্ষের মাঝেই রবিবার সকালে ময়নার গোড়ামহলে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়৷ শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন শংকর মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি৷ যদিও দেহ উদ্ধারের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.