দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিং থানায়। থানার ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মৃতের শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁদের আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ক্যানিং থানার এসআই-সহ মোট ৪ জন পুলিশকর্মী। আহতরা বর্তমানে ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। এদিন গুরুতর আহত অবস্থায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা হালিমা বিবিকে ক্যানিং হাসপাতালে ভরতি করে শ্বশুবাড়ির সদস্যরা। শনিবার বিকেলে হাসপাতালে মৃত্যু হয় হালিমার। এরপর রবিবার সকালে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর কথা ছিল পুলিশের। অভিযোগ, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর আগেই ক্যানিং থানায় হাজির হন মৃতার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেখানে মৃতার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে হালিমা বিবির। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ওই মহিলার উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবারও ওই বধূকে মারধর করে তাঁরা। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। এরপরই তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ অস্বীকার করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দু’পক্ষের কথা কাটাকাটিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের মদতেই চোরাশিকারের বাড়বাড়ন্ত! মইপিঠের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য]
থানায় পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ক্যানিং থানার এসআই দিগন্ত মণ্ডল, এএসআই শ্রীকৃষ্ণ পাল, তাপস দে ও সিভিক ভলান্টিয়ার শংকর বিশ্বাস। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হালিমা বিবির দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দু’পক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হালিম বিবির মৃত্যুর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.