সুমন করাতি, হুগলি: ইমামবাড়া হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশ কর্মীর। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশকর্মী চন্দননগর পুলিশ লাইনের বারাকে থাকতেন। কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত পুলিশকর্মীর নাম হিমাংশু মাঝি। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। চন্দননগর পুলিশ লাইনের র্যাফে পোস্টিং ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে ইমামবাড়া হাসপাতালে পুলিশ লকআপে ডিউটিরত ছিলেন তিনি। ডিউটিরত অবস্থায় হিমাংশু নিজের সার্ভিস রিভালভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শব্দ শুনে ছুটে যান হাসপাতালে কর্মরত অন্য পুলিশকর্মী ও হাসপাতালের স্টাফরা। তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন হিমাংশু। তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনদিন পর তাঁর বিয়ে। ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যেই এই কাণ্ড!
হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, “শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” এক রোগী বলেন, “রাতে এক বিকট শব্দ শুনতে পাই। তারপর থেকেই সবাই ছুটোছুটি করছে। শুনেছি পুলিশ কর্মীর গুলি লেগেছে। কী করে এই কাণ্ড বলতে পারব না।” পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন খবর শুনে সকালে হাসপাতালে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সমীর সরকার। তিনি বলেন, “খবর পাই হাসপাতালে গুলি চলেছে। এক পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কী করে এই কাণ্ড তা বলতে পারব না। পুলিশ-প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।” ঘটনার তদন্তে হাসপাতালে পৌঁছেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.