শংকর রায়, উত্তর দিনাজপুর: রাজস্থানে বাঙালি প্রৌঢ়কে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। কেরলেও রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়ার হেমন্ত রায়ের। কিন্তু, এ রাজ্য থেকে পুলিশের উদ্যোগে নিরাপদেই বাড়ি ফিরতে পারলেন মহারাষ্ট্রের সাতজন শ্রমিকরা। বিপদগ্রস্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার নজির গড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
[রাজস্থানের পর এবার কেরলে রহস্যমৃত্যু বাঙালি শ্রমিকের, ইন্দাসে শোকের ছায়া]
কী ঘটেছে রায়গঞ্জে? পুলিশ জানিয়েছে, একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে কেবলের কাজ করতে রায়গঞ্জে এসেছিলেন মহারাষ্ট্রের সাতজন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা ও ২ শিশুও ছিল। এঁদের প্রত্যেকের বাড়ি মহারাষ্ট্রের মহাগাঁও জেলার উটি গ্রামে। সোমবার রাতে ট্রেনে করে রায়গঞ্জে পৌঁছয় ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের দলটি। কিন্তু, রায়গঞ্জে স্টেশনে নামার পর আচমকাই উধাও হয়ে যায় ঠিকাদার। ফলে চরম বিপাকে পড়েন ওই সাতজন। রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সড়ক লাগোয়া শিলিগুড়ি মোড়ে ভিনরাজ্যের ওই শ্রমিকদের দেখেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। ভিন রাজ্যের ওই সাতজন শ্রমিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গোটা ঘটনা জানার পর, মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সাতজনের ওই দলে একজন বাদে আর কেউ মারাঠি ছাড়া আর কোনও ভাষা জানেন না। তাঁদের সঙ্গে বিশেষ টাকা-পয়সাও ছিল না। ফলে খাবারও জোটেনি। মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জ থানাতেই ছিলেন ওই সাতজন। পুলিশকর্মীরাই তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বেশ কিছু টাকাও দেওয়া হয়। বুধবার ভোরে রায়গঞ্জ থেকে দিল্লিগামী ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই সাতজন মারাঠি শ্রমিককে। এ রাজ্যের পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো আপ্লুত তাঁরা।
[দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের কাছে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য]
সোমবার রাতে রায়গঞ্জ পৌঁছেছিলেন মহারাষ্ট্রের ওই সাতজন শ্রমিক। ঘটনাচক্রে, সেদিনই পুরুলিয়ায় এক জনসভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘বাংলায় ভিনরাজ্যে বহু মানুষ কাজ করেন। তাঁদের আমি আপনজন বলে মনে করি।’ অনেকেই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী সেই কথাই যেন কাজ হয়ে ধরা দিল রায়গঞ্জ থানার পুলিশের উদ্যোগে।
[সপ্তাহের শেষেই নামবে পারদ, খুশির খবর আবহাওয়া দপ্তরের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.