সোমনাথ পাল, বনগাঁ: বিয়ে করতে গিয়ে বিপাকে এক যুবক। পুলিশের ভয়ে শেষপর্যন্ত বিয়ের আসর থেকে পালাতে হল তাঁকে। পাত্রীপক্ষের কাছে রীতিমতো মুচলেকা নিয়ে বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়।
[ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান, যুবকের মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল বিবাহিত মহিলা]
গাইঘাটার সরুইপুর গ্রামের বাসিন্দা ধীমান দাস। পেশায় তিনি দিনমজুর। অভাবে সংসারে চার-চারটি কন্যাসন্তান। ধীমানবাবুর মেয়ে তুলির বয়স সতেরো বছর। স্থানীয় ডেওপুল অধর মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্রী সে। পড়াশোনা করতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল তুলি। কিন্তু মেয়ের পড়ানোর যে বিস্তর খরচ! ধীমান দাস ভেবে রেখেছিল, দাবিদাওয়াহীন পাত্র পেলেই নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেবেন। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বনগাঁ খানার চৈতিপাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঠিকও করে ফেলেছিলেন ধীমানবাবু। পরিবারের চাপে বিয়ে না করে উপায় ছিল না তুলিরও। শুক্রবার রাতে মন্দিরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে ধীমান দাস যে লুকিয়ে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ব্যবস্থা করে ফেলেছেন, সেকথা জেনে যান গাইঘাটার সরুইপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিয়েতে প্রথম থেকে মত ছিল না তাঁদের। শেষপর্যন্ত প্রশাসনকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার রাতেই পুলিশকে নিয়ে বিয়ে আসরে হানা দেন গাইঘাটার জয়েন্ট বিডিও জীবন কানাই মণ্ডল। ততক্ষণে বিয়ে আসর থেকে পালিয়েছে বর! ধীমান দাসকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছেন জয়েন্ট বিডিও, যে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না তিনি। তুলির পড়াশোনার সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন গাইঘাটার জয়েন্ট বিডিও জীবন কানাই মণ্ডল। প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি গ্রা্মবাসীরাও।
[ সম্পর্কের শীতলতা নাকি সন্দেহে খুন, প্রেমিকাকে গুলি কাণ্ডে ঘনাচ্ছে রহস্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.