সুব্রত বিশ্বাস: লকডাউনে মদের আকাল। মদ না পেয়ে এমন অবস্থা মদ্যপদের যে করোনা আক্রান্তের সঙ্গেও খেতেও যেন আপত্তি নেই! হলও তাই। বেলুড় চাঁদমারি খাটাল এলাকায় এক আক্রান্তের সঙ্গে মদের আসরে বসায় ৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল। প্রত্যেকের বাড়ির প্রায় ৪০ জনকে বাড়ির মধ্যে থাকতে বলেছে পুলিশ। এলাকাটি বৃহস্পতিবার রাতে সিল করে দেওয়া হয়।
লিলুয়া রেল হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী মঙ্গলবার ওই হাসপাতালে জ্বর ও কাশি নিয়ে ভরতি হন। বুধবার পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। সোমবার রাতে আক্রান্ত এলাকার ৭ জনকে নিয়ে মদ্যপানের আসর বসিয়েছিলেন তিনি। আক্রান্ত হাওয়ার খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবে ওই ৭ জন ঘাবড়ে যান। পুলিশের দ্বারস্থ হলে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। শুক্রবার তাঁদের টেস্ট করতে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুলিশ এলাকাটি সিল করে দেয়। তবে এলাকাটি সিল করে দেওয়া হলেও উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে জরুরি কাজের জন্য স্থানীয়রা বাইরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে হাওড়ার ডোমজুড়ে ব্যাংকের কর্মী সঞ্জয় যাদব কাজে যাওয়ার সময় তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে সঞ্জীব চক্রবর্তী ওরফে ছোটকা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল ঝামেলা সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনে এক শ্রেণির দুষ্কৃতী অহেতুক ঝামেলা করছে। ফলে হয়রান হচ্ছে পুলিশ। দু’দিন আগেও এই ব্যক্তি অশোক শর্মা নামে একজনকে মারধর করে। গোটা ঘটনাটি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ দায়ের হলেই গ্রেপ্তার করা হবে ছোটকাকে। টাটা ফাউন্ড্রির জায়গা দখল করে যে ফলের দোকান চালাচ্ছিল, সেটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এলাকাটি কন্টেন্ট জোন হলেও মানুষজন নির্দেশ ঠিকমতো পালন না করায় পুলিশ আরও কঠোর পদক্ষেপ করছে। ডোমজুড়ের যুব তৃণমূল সম্পাদক জয় শীল জানান, ‘স্বেচ্ছাসেবকরা রাতদিন কাজ করে চলেছেন। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে। অহেতুক ঝামেলাকারী ও আইন না মানা লোকজনদের প্রতি পুলিশকে কঠোর হতে বলা হয়েছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.