নিজস্ব ছবি
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সুড়ঙ্গের পর আগ্নেয়াস্ত্র। কুলতলির ‘টানেল ম্যান’ সাদ্দাম সর্দারের পয়তারহাটের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করলেন তদন্তকারীররা। কয়েকটি ধাতব মূর্তিও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাদ্দামকে জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধাতব মূর্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জালাবেরিয়া-২ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাদ্দামের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। শুধু নকল সোনার কারবার নয়, বাংলাদেশ থেকে দুষ্প্রাপ্য মূর্তি এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে কুলতলির সাদ্দাম সর্দারের বিরুদ্ধে। কাটা চুলের ব্যবসা করতেন সাদ্দাম। সেই চুল বিক্রির জন্য ১২ লক্ষ টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন নদিয়ার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু সেই চুল সরবরাহ করা হয়নি। এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় কুলতলি থানায়। এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কাটা চুলের ব্যবসা সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সাদ্দামের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সাদ্দামকে ধরে ফেলে তারা। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম এবং সাইরুল। অভিযুক্তের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়ে যায়। তাঁর বাড়ির পাশেই রয়েছে খাল। সেই খালের জলের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে ওই সুড়ঙ্গের মুখে জাল আটকে মাগুর মাছ চাষের ভাবনাচিন্তা ছিল সাদ্দামের।
গত রবিবার X হ্যান্ডেলে সাদ্দামের বাড়ির সুড়ঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্টও তলব করেন তিনি। দিনদুয়েক লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হয় কুলতলি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দার। কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি আলাঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন দুজনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.