অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে চলছিল টানাপোড়েন। তারই মাঝে আচমকা নিখোঁজ নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী। রাতভর খোঁজাখুঁজিতে লাভ হয়নি। বুধবার সকালে ঘটে গেল অঘটন। পানের বরোজ থেকে উদ্ধার হল ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) সবং ব্লকের ১২ নম্বর বুড়াল অঞ্চলের কেরুর গ্রাম। মৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিকের পরিজনেরা তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সবং থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে বেরোয় পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ১২ নম্বর বুড়াল অঞ্চলের কেরুর গ্রামে কাবেরী খাঁড়া। বছর চোদ্দর ওই স্কুলছাত্রী কোথায় গিয়েছে, তা বলে যায়নি কাউকেই। রাত বাড়তে থাকে। তবে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিজনেরা। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পান বরোজের সামনে গিয়ে হতবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। দেখেন পান বরোজের সামনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে কাবেরী। তড়িঘড়ি পরিজনদের খবর দেওয়া হয়। সবং থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
ওই স্কুলছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে? তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ছাত্রীকে। কিন্তু কে বা কারা এই কাজ করল? কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, সম্প্রতি পিংলার দেবাশিস অধিকারী নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় কিশোরীর। ফোনে কথা বলত দু’জনে। এই সম্পর্ক দেবাশিস পরিবার মেনে নেননি। তাই ওই যুবকের পরিজনেরা প্রায়শই হুমকি দিত কিশোরীকে। সেই আক্রোশেই কিশোরীকে তারা খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলেই অভিযোগ মৃত ছাত্রীর পরিবারের। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.