অর্ণব দাস, বারাকপুর: জগদ্দল গুলিকাণ্ডের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে অর্জুন সিংকে তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি বিজেপি নেতা। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয়বার তলব করলেও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মজদুর ভবনে হাজির হল জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানেই অর্জুন সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন জগদ্দল থানার আইসি মধুসূদন মণ্ডল।
বুধবার রাতে ঘটনার সূত্রপাত। জানা যায়, জগদ্দলের মেঘনা মিলের শ্রমিকদের মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে যান ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলে, নমিত সিং। এরপরই বচসা বড় আকার নেয়। গুলি চলে বলে অভিযোগ। অর্জুন সিংয়ের দাবি, বুধবার রাতে মজদুর ভবনেই ছিলেন তিনি। আচমকা ২ রাউন্ড গুলির শব্দ পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা মোড়ের কাছে যান তিনি। অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপরই পালটা ধাওয়া করেন তাঁরা। তাতেই চম্পট দিতে গিয়ে জখম হন এক যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আহত যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এদিকে অর্জুন সিং তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ করলেও ঠিক উলটো দাবি তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, পড়ে গিয়ে চোট নয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নমিত সিং ঘনিষ্ঠ সাদ্দাম নামে ওই যুবক। খোদ অর্জুন সিং তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার জগদ্দল থানার তরফে ১০ টার মধ্যে অর্জুনকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তলবে সাড়া দেননি। এরপরই ফের তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। তাতেও কাজ হয়নি। এরপর বিকেল ৫ টা নাগাদ মজদুর ভবনে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভিতরে ঢোকেন জগদ্দল থানার আইসি মধুসূদন মণ্ডল। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিজেপি নেতাকে। মজদুর ভবনের বাইরে ছিলেন বাসুদেবপুর, হালিশহর, নোয়াপাড়া থানার আইসিরা। অর্জুন সিংয়ের আইনজীবী রমেশ সাউয়ের দাবি, অর্জুন সিংকে হয়রানি করতেই এই পদক্ষেপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.