নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বেশ কয়েকবার হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে জরিমানা দিয়েছেন পাত্র। এমনকী, পুলিশের অনুরোধ মেনে নিজের বিয়ে কার্ডে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগানও ছাপিয়েছেন। শেষে বউভাতের আসরেও অতিথি হিসেবে হাজির হলেন উর্দিধারীরা। নবদম্পতিকে হেলমেট উপহার দিয়ে শুভ কামনা জানিয়ে গেলেন সিউড়ির থানার এক পুলিশ আধিকারিক ও ট্রাফিক বিভাগের ওসি।
বীরভূমের সিউড়ি শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৌম্যশংকর রায়। হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। বিয়ে করতে গিয়ে ফের একদফা ‘শাস্তি’র মুখে পড়েন সৌম্য। পুলিশ তরফে বিয়ের মেনু কার্ডের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার করার প্রস্তাব দেওয়া হয় পাত্রের পরিবারকে। হাসিমুখে সেই প্রস্তাব মেনেও নেয় রায় পরিবার।
শনিবার সিউড়ি শহরের একটি লজে যখন সৌম্যশংকর রায়ের বউভাতের অনুষ্ঠান চলছে, তখন সেখানে হাজির হন সিউড়ি থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক ও ট্রাফিক বিভাগের ওসি। বিয়ের আসরে পুলিশ কেন? বীরভূম জেলার পুলিশ শ্যাম সিং জানিয়েছেন, স্রেফ বিয়ের মেনুকার্ডে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচারই নয়, ছেলের বিয়েতে পুলিশ আধিকারিকদেরও নিমন্ত্রণ করেছিলেন রায় পরিবারের সদস্যরা। নিয়মন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন সিউড়ি থানার আধিকারিকরা। আর বিয়েবাড়ি তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না, তাই নবদম্পতিকে দুটি হেলমেট উপহার দিয়ে শুভকামনা জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পুলিশের তরফে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি সম্বলিত একটি স্মারক উপহার পেয়েছেন সৌম্যশংকর রায় ও তাঁর স্ত্রী সায়ন্তী রায়। সেই স্মারকের গায়ে লেখা ছিল ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’!
এদিকে বউভাতের অনুষ্ঠানে এমন অভিনব উপহার পেয়ে অভিভূত নববধূ সায়ন্তী রায়। তিনি বলেন, ‘নতুন জীবনে প্রবেশের আগে এমন উপহার পেয়ে ভালই লাগছে।’ পাত্র কী বলছেন? সৌম্যশংকর রায়ের বক্তব্য, ‘ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে হেলমেট না পরে জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে পুলিশকর্মীরাই আমার অভ্যাস বদলে দিয়েছেন।’
ছবি: শান্তনু দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.