দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কয়েক দিন কাটমানি চেয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে অশ্লীল পোস্টার পড়েছিল হুগলির উত্তরপাড়ায়। ঘটনায় পুলিশেরই এক আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল চন্দননগর কমিশনারেট। ধৃতের নাম সমীর সরকার। তিনি হুগলির ডিআইবি ওসি(ওয়াচ)পদে কর্মরত।
কাটমানি বিক্ষোভের বহর কিছুটা কমেছে ঠিকই। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে কাটমানি চেয়ে পোস্টার দেওয়ার ঘটনা কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। গত ৩০ জুলাই এলাকার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে উত্তরপাড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পোস্টারে সাংসদের কাছে কাটমানির টাকা ফেরত চাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কাটমানি টাকা কীভাবে খরচ করেছেন? তা নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশ্লীল ও কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণও করা হয় পোস্টারে। কিন্তু পোস্টারের নিচে কোনও দল বা সংগঠনের নাম উল্লেখ করা ছিল না। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তে নেমে প্রথমেই যে এলাকার পোস্টারগুলি লাগানো হয়েছিল, সেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের গাড়ির চালক অমিয় খামারু ও মোস্তাফা নামে এক ব্যক্তিকে। তদন্তকারীদের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যখন অশ্লীল পোস্টারগুলি লাগানো হচ্ছিল, তখন পুলিশের গাড়িতেই বসেছিল সমীরবাবুও। কিন্তু প্রথমে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং তাঁর উপর নজর রাখছিলেন চন্দননগর কমিশনারেটে আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত সোমবার গভীর রাতে অভিযুক্ত ওই পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার যখন ধৃত সমীর সরকারকে আদালতে তোলা হচ্ছিল, তখন তিনি দাবি করেন, ‘ভোটের সময়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে খেটেছিলেন। এখন মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’ অভিযুক্তের এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। ওই পুলিশ আধিকারিক একসময়ে হুগলিরই জাঙ্গিপাড়ায় থানার ওসি পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.