বাবুল হক, মালদহ: রক্ষকই যখন ভক্ষক! খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই ‘ডাকাতি’র (Robbery) অভিযোগ উঠল মালদহে (Malda)। ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অস্ত্রের তল্লাশি করতে এসে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ও বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল পুলিশ (Police)। এমনটাই অভিযোগ। বুধবার সকালে এই ঘটনা চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় মালদহ জেলা পুলিশ মহলে। ইতিমধ্যে দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ডাকাতি’র অভিযোগ তুলেছেন কালিয়াচকের বাহান্ন বিঘা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আসরাউল শেখ। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশির নামে লুঠপাট চালিয়েছে। নগদ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ও ৩০ ভরি সোনা লুঠ করে চম্পট দিয়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশের একটি মহল এই অভিযোগ মানতে চায়নি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আসরাউল শেখের বাড়িতে কালিয়াচক থানার সহকারি সাব-ইনসপেক্টর পীযূষ মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হানা দেয়। আসরাউল তখন বাড়িতেই ছিলেন। পুলিশ তাঁকে আটক করে গাড়িতে তোলে। তারপর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো শুরু করে। তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি থেকে আনুমানিক নগদ ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৩০ ভরি সোনা পায় পুলিশ। কিন্তু সেই টাকা ও সোনা সরকারিভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়ে টাকা ও সোনা নিয়ে চম্পট দেয় পুলিশ!
যদিও মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আনীষ সরকার দাবি করেন, বাড়ির মালিক আসরাউলই টাকা ও সোনা নিয়ে পালিয়েছেন। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটিকে সহজভাবে নেয়নি মালদহ জেলা পুলিশ প্রশাসন।
মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যেহেতু একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে, তাই তাঁকে সাসপেন্ড করে বসিয়ে দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা দু’জন কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।”
এদিকে এখনও অবধি খোঁজ মেলেনি ‘পলাতক’ আসরাউলের। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘ডাকাতি’র অভিযোগ নিতে পুলিশ গড়িমসি করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.