ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: বেআইনি চন্দন কাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে শুল্ক দপ্তরের (Customs Department) আধিকারিকরা। তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তল্লাশির আগেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের থানায় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ। নিজেদের পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও হাওড়ার (Howrah) পাঁচলা থানায় দীর্ঘসময়ের জন্য তাঁদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দাদের। এমনকী, তাঁরা এক পুলিশকর্তাকে বিষয়টি জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তাঁদের থানায় বসিয়ে রেখে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
শুল্ক দফতরের দাবি, শুল্ক কমিশনার রাজ্য পুলিশের পদস্থ পুলিশকর্তাদের ফোন করে আশ্বস্ত করার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর তাঁরা পাঁচলার শেখপাড়া গ্রামে একটি মুড়ির কারখানার গোডাউনে তল্লাশি চালাতে পারেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের বলা হয়, তল্লাশি করার আগে আগাম জানাতে হবে। কিন্তু পুলিশের সেই দাবি মানতে নারাজ শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দারা।
শুক্রবার রাতে শুল্ক দপ্তরের (P and I) সদর বিভাগের গোয়েন্দা আধিকারিক এ আর রাও তাঁর টিম নিয়ে ওই গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে ৪৭২ কিলো লাল চন্দনকাঠ উদ্ধার করেন। এর দাম প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। ওড়িশা থেকে নেপাল হয়ে চিনে পাচার করার ছক কষেই মাস কয়েক আগে ওই গোডাউনে রাখা হয় লাল চন্দন কাঠের গুঁড়ি। এর বদলে গোডাউনের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পাচারকারীরা এতদিন ধরে ক্রেতার সন্ধান চালাচ্ছিল। দু’জনকে আটক করে গোয়েন্দারা জেরা করেন। পাচারকারীদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে শুল্ক দপ্তরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.