বিপ্লবচন্দ্র দত্ত ও গোবিন্দ রায়: হাঁসখালি কাণ্ডের (Hanskhali Rape Case) এফআইআরে (FIR) নাম নির্যাতিতার বাবা ও দাদার। সিবিআই সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক মৃতার মা। যদিও এক পুলিশ কর্তার দাবি, মায়ের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এফআইআরে ওই দুজনের নাম রাখা হয়েছে।
ব্যাপারটা ঠিক কী? হাঁসখালি কাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। চলছে বয়ান রেকর্ড। সোমবার নির্যাতিতার মাকে বয়না রেকর্ডের জন্য ডেকে পাঠান তদন্তকারীরা। সেই সময় সিবিআই আধিকারিকরা মৃতার মাকে প্রশ্ন করেন, এফআইআরে তাঁর স্বামী ও ভাসুরপো অর্থাৎ মৃতার বাবা ও এক তুতো দাদার নাম রয়েছে, বিষয়টি তিনি জানেন কি না। নির্যাতিতার মা বিষয়টি জানার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এবিষয়টি একেবারেই তার জানা ছিল না। পাশাপাশি কেন বাবা ও দাদার নাম এফআইআরে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের দাবি, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই তাঁর স্বামী ও ভাসুরপোর নাম রাখা হয়েছে এফআইআরে। জানা গিয়েছে, মৃতার মা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর সামনেই পোড়ানো হয়েছিল মেয়ের দেহ। এছাড়াও আরও দুজন সেখানে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন ভাসুরপো। আইন অনুযায়ী, দেহ পোড়ানো মানে তা লোপাটের চেষ্টা। সেই কারণেই দেহ পোড়ানোর সময় ঘটনাস্থলে থাকায় নির্যাতিতার বাবা ও ভাসুরপোর নাম রয়েছে এফআইআরে। ঘটনাস্থলে থাকা সকলের নামই এফআইআরে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এদিকে পাঁচটি ধর্ষণের মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। সোমবার মামলা দায়ের করেন বিজেপি লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। শান্তিনিকেতন, নামখানা, পিংলা, ময়নাগুড়ি এবং নেত্রা, এই পাঁচটি ঘটনায় রাজ্য পুলিশের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.