সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গুলি’ মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়লেন বীরভূম বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্যামাপদ মণ্ডল।
রাজনীতির ময়দানে বাক্যবাণও এক শক্তিশালী অস্ত্র। মন্তব্য, পালটা মন্তব্যকে হাতিয়ার করে লড়াই চালিয়ে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। তবে কুকথার উপর ভর করেও ইদানিং রাজনৈতিক লড়াই চলছে। অনুব্রত মণ্ডল, দিলীপ ঘোষরা বরাবরই তাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের পথে হেঁটেই বিভিন্ন সভা থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন সায়ন্তন বসু, সৌমিত্রের খাঁয়ের মতো বিজেপি নেতারা। দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুর পথে হেঁটে শনিবার সাইঁথিয়ার সভা থেকে ‘গুলি’ মন্তব্য করেন বীরভূম বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, “কোনও এলাকায় হাতি ঢুকে পড়লে প্রথমে ঘুম পাড়ানি গুলি চালিয়ে তাকে বশে আনার চেষ্টা করতে হয়। তাতে কাজ না হলে চিরতরে ঘুম পাড়াতে হয়। ঠিক একইভাবে যারা বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করবে, তাঁদেরও প্রথমে সাবধান করতে হবে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে, তাতে কাজ না তাঁদেরও চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে।” জেলা সভাপতি এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে।
শ্যামাপদ মণ্ডলের এই মন্তব্যের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শ্যামাপদ মণ্ডলের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু মামলা দায়ের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেন অভিযুক্ত বিজেপির জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, একাধিকবার তৃণমূল জেলা সভাপতির মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে কেন পুলিশ এগিয়ে এসে বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হলেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেইসঙ্গে ঘটনার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে, নাম না করেই এমন অভিযোগও করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.