সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গুজরাট থেকে ফিরেই ঠিকানা হয়েছিল প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন। সঙ্গে বাক্স-প্যাঁটরাতে পোশাক-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকলেও নেশা করার বিড়িটাই ছিল না হাতে! আর সেই বিড়ির টানে ভরদুপুরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের পাঁচিল টপকে চলে যান বাজার। আর সেটাই কাল হল পরিযায়ীর শ্রমিকের। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫-এ তাঁর নামে মামলা ঠুকে দিল পুলিশ। তবে জামিন হলেও এই মামলার ঝক্কি নিয়েই আজ মঙ্গলবার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইন থেকে মুক্তি মিলবে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের।
পরিযায়ী বাপি বাউরি। বাড়ি পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার রঘুডিতে। চলতি মাসের ২ তারিখ গুজরাট থেকে ফেরেন তিনি। করোনা প্রটোকল অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই এলাকার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার জনারদনডি হাই স্কুলে। সেখানে দুপুরের ভাত খেয়ে বিড়ির নেশা চেপে বসে ওই পরিযায়ীর। ওই কোয়ারেন্টাইনে কারও কাছেই ধূমপানের বিড়ি না পাওয়ায় পাঁচিল টপকে বাজারে চলে যান তিনি। ওই দিন সন্ধ্যে পর্যন্ত সেখানে না ফেরায় হইচই বেঁধে যায়। খবর যায় নিতুড়িয়া থানার পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ জনারদনডি বাজার ঘুরে ৩৫ বছরের পরিযায়ী বাপিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়।
কিন্তু নিজেদের নাগালে নিলে হবে কি? ঘন ঘন বিড়ি টানার নেশায় বুঁদ ওই পরিযায়ীকে নানাভাবে বুঝিয়েও পুলিশ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে আসতে পারছিল না। তখন কার্যত জোর করেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করতে হয় l ফলে এমন নেশাড়ু পরিযায়ীকে বাগে আনতে বিপর্যয় আইনে মামলা করা ছাড়া আর কোন উপায়ই ছিল না পুলিশের l নিতুড়িয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই পরিযায়ী শ্রমিককে ওই কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশ মেনে ১৪ দিনের সময়সীমা পার হলেই তাঁকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.