ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ফের বিপাকে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। আবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ। বুধবার কাঁকিনাড়ার আর্যসমাজ মোড়ে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় এবার বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে দায়ের হল খুনের চেষ্টার মামলা। পুলিশের কার্যকলাপে কিছুই যায় আসে না বলেই দাবি বিজেপি সাংসদের।
ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার সকালে আর্যসমাজ মোড়ে একটি কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল যুব নেতা ধর্মেন্দ্র সিং। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি তাঁর মাথার পিছনে লাগে। তিনি জখম হয়ে লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল নেতা।
ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ধর্মেন্দ্র অর্জুন সিংয়ে অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিল। তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই অর্জুনের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। পরে তৃণমূলেই ফেরেন ধর্মেন্দ্র। সেই আক্রোশেই বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা এই কাজ করেছে বলেই অভিযোগ। তবে গেরুয়া শিবির সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছিল। তাদের পালটা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই নেতা।
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অর্জুন সিং বলেন, “আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আমার বিরুদ্ধে ৮৭টি ফৌজদারি মামলা করেছে। এটা নিয়ে ৮৮টি হল। সবাই জানে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য। যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে সিসিটিভিও রয়েছে। পুলিশ তো চাইলে এক মিনিটে দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলতে পারে।”
পালটা অর্জুন সিংকে জবাব দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “অর্জুনের লোকজনই তৃণমূল নেতাকে গুলি করেছে। সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপির ছাতার তলায় গিয়েও অর্জুনের রক্ষা হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.