ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সুন্দরবনের (Sundarban) গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল ট্রলারডুবিতে মাঝসমুদ্রে ভাসতে থাকা বারোজন মৎসজীবী। তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। সাক্ষাত মৃত্যুর মুখ থেকে ঘরে ফিরে পুলিশ আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, সোমবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানায় খবর আসে, বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলারডুবি হয়েছে। এক মুহূর্ত দেরি না করে ওসি অজয়কুমার চন্দ তাঁর পুলিশবাহিনী এবং সিভিক ভলান্টিয়র ও স্পিডবোট নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘তিন ভাই’ ট্রলারটির সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গে নেন আরও দু’টি মাছ ধরার ট্রলার ও সেই ট্রলার দু’টির মৎস্যজীবীদের। দীর্ঘসময় তল্লাশির পর জি-প্লট থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির হদিশ পায় উদ্ধারকারী দল। দলের সদস্যরা ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের খোঁজ শুরু করেন। এক এক করে ১২ জন মৎসজীবীকেই লাইফ জ্যাকেট পরে ভাসতে দেখেন তাঁরা। প্রচণ্ড ঢেউয়ে তখন ক্রমশ গভীর সমুদ্রের দিকে ভেসে যাচ্ছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই ডুবন্ত বারোজন মৎস্যজীবীকেই শেষপর্যন্ত জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার সত্যদাসপুর, কৃষ্ণদাসপুর ও রাখালপুরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকারী দল ওই মৎস্যজীবীদের থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের এহেন সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার স্বয়ং। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ যেভাবে বারোজন মৎস্যজীবীর প্রাণ বাঁচিয়েছে তাতে খুশি উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের পরিবার-পরিজনেরাও। পুলিশ ছাড়াও উদ্ধারকারী দলে থাকা মৎস্যজীবিদেরও সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.