অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: প্রেমিকার বাড়ি থেকে শুক্রবারই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিঞ্জিরাবাজারের পরিবহণ ব্যবসায়ী আশিস সিংকে। ফজিরবাজারে প্রেমিকার বাড়ি থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে (Howrah State General Hospital) নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে গৃহবধূ কবিতা দুবেই তাঁকে খুন করে বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুলিশ কবিতা ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। দেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল পরকীয়া সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে প্রেমিককে খুন করেছে কবিতা। তবে কবিতার বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীর দাবি ঘিরেই তৈরি হয়েছে জটিলতা।
প্রতিবেশীদের দাবি, আশিস সিংয়ের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কবিতা। ও আমাকে মানসিক চাপ দিত। আমি ওকে খুন করে আত্মঘাতী হব।” প্রতিবেশীদের কথা অনুযায়ী, আশিস খুনের পরিকল্পনা নিয়েই হাওড়ার ফজিরবাজারে প্রেমিকা কবিতার বাড়িতে আসে। খুন করতে পারেনি। তবে সে আত্মহত্যা করেছে বলেই দাবি প্রতিবেশীদের।
যদিও পুলিশের দাবি, কোনও সুইসাইড নোট তাঁরা পাননি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী সুইসাইড নোট উদ্ধারের দাবি সম্পূর্ণ সাজানো। শুধুমাত্র কবিতা দুবেকে বাঁচানোর উদ্দেশেই খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্বকে সামনে আনা হচ্ছে? নিহত ব্যবসায়ী আশিসের ছেলে অবশ্য বাবার খুনি হিসাবে কবিতাকেই চিহ্নিত করেছেন। তাঁর দাবি, “কবিতার জন্য সংসারে অশান্তি হত। বাবাকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করত গৃহবধূ। বাবা যোগাযোগ রাখতে চাইতেন না। বাধ্য হয়ে একসময় বাবা সিম কার্ড বদলে ফেলেন। তবে তা সত্ত্বেও নতুন নম্বর জোগাড় করে বিরক্ত করত সে।” সম্পর্কের কথা জানাজানি করে দেওয়ার জন্য হুমকি নাকি টাকাপয়সার জন্য চাপ দেওয়া হত আশিসকে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আশিস এবং কবিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে। দু’জনের কললিস্টেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.