সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শ্বাসরোধ করে খুন নাকি অন্য কিছু? খুনের নেপথ্যে কি হেলমেটধারী অজ্ঞাতপরিচয় যুবক? নাকি নিহত তরুণীর বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন? কাঁকসায় একই পরিবারের তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় থ্রিলার ছবির মতো পরতে পরতে রহস্য। ধন্দে তদন্তকারীরা।
পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার রেলপার্ক সারদাপল্লির বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মার বাড়িতে ভরদুপুরে ঢোকেন এক হেলমেটধারী। তাঁর পরিচয় জানেন না কেউ। প্রতিবেশী তথা ধনঞ্জয়বাবুর ভাইয়ের স্ত্রীর দাবি, তিনিও চিনতে পারেননি ওই ব্যক্তিকে। হেলমেটধারী বেরিয়ে আসার পর বাড়ি থেকেই উদ্ধার গৃহকর্তার শাশুড়ি, শ্যালক এবং মেয়ের নিথর দেহ। পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ইতিমধ্যে প্রাথমিক তদন্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁদের। কে খুন করল তিনজনকে? হেলমেটধারী কে? এই খুনে কী যোগ রয়েছে তাঁর? একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যুতে হাজারও প্রশ্নের জট।
তারই মাঝে সামনে এসেছে ধনঞ্জয়ের মেয়ে সিমরানের নড়বড়ে দাম্পত্য সম্পর্কের কথা। জানা গিয়েছে, সিমরানের কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে থাকতেন পুনেতে। তবে সম্প্রতি দাম্পত্য সম্পর্ক উষ্ণতা হারায়। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন সিমরান। দায়ের করেন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও। এই ভাঙাচোরা বৈবাহিক সম্পর্ককেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছেন না তদন্তকারীরা। আপাতত স্বজনহারা বিশ্বকর্মা দম্পতি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টায় পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.