রঞ্জন মহাপাত্র, কাথি: ফিল্মি কায়দায় সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতি রুখল পুলিশ। শুধু তাই নয়, পিছু ধাওয়া করে সশস্ত্র ডাকাতদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আরও চার ডাকাত পলাতক। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে।
রামনগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার সত্যেশ্বরপুর সমবায় ব্যাঙ্কের ঘটনা। গতকাল রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ব্যাঙ্কের শাটারের তালা কেটে ভিতরে ঢুকেছিল সাত ডাকাত। ব্যাঙ্কের ভল্ট কেটে ডাকাতির চেষ্টা চলে। বাইরে তাদের গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। সেই সময় এক ব্যক্তি ওই ব্যাঙ্কের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। গাড়ি দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। ভিতর থেকে আওয়াজও আসছিল। তার পরেই তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ পৌঁছে যাওয়ার বিষয় টের পেয়ে ব্যাঙ্কের দোতলার ছাদ থেকে ডাকাতরা লাফিয়ে পড়ে। নিজেদের গাড়িতে উঠে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পুলিশও সেই গাড়ির পিছু ধাওয়া করে। এক সময় গাড়ির পিছনে পুলিশের গাড়ি ধাক্কা মারে। ডাকাতদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লাইট পোস্টে লাগে। এর পর গাড়ি ফেলেই ডাকাতরা ছুটে পালানোর চেষ্টা করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয়ও দেখায় তারা। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রাও সেখানে ততক্ষণে চলে এসেছে। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ একযোগে ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করে। ডাকাতরা মাঠ দিয়ে ছুটে পালাতে গেলেও তাদের চেষ্টা বিফলে যায়। তিন ডাকাত ধরা পড়ে। তবে চার জন পালিয়ে যায়।
ধৃতরা হল ইকবাল হোসেন সাহা, নুরুদ্দিন মল্লিক, এয়সান মল্লিক। ইকবাল হোসেন সাহা, নুরুদ্দিন মল্লিক ডাকাত দলের দুই পান্ডা। পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকায় তাদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে একাধিক ম্যাপ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের তালা, দরজা কাটার যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে। রামনগর থানার ওসি অমিত দেব জানিয়েছেন, এর পিছনে বড়সড় গ্যাং রয়েছে। তদন্ত চলছে। বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে। বড় মাপের ডাকাতি রোখা গিয়েছে। পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছে স্থানীয়রাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.