সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সাগরে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানির ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল ওই ব্যক্তির। মৃতের পকেট থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। তবে কী সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছেন গৌতম পাত্র? রহস্যের জট খোলার চেষ্টায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির অদূরেই একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সাগরের ঘোড়ামারা ২ নম্বর ব্লকের হাটখোলার বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক গৌতম পাত্রের ঝুলন্ত দেহ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এরই মাঝে হাতে আসে একটি সুইসাইট নোট। জানা গিয়েছে, সেখানে লেখা রয়েছে, “আজ পর্যন্ত জ্ঞানত কোনও পাপ কাজ করিনি। গ্রাম একদিকে, আমি একা। কিছু করতে পারব না। তাই আমি আমার পথ বেছে নিলাম।” কিন্তু কেন তিনি একা? ঠিক কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন সাতেক আগে গ্রামের এক মহিলার গোয়ালে ঢুকে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ উঠেছিল মৃতের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে বুধবার গ্রামে একটি সালিশি সভার আয়োজন করা ছিল। সেখানে একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন গৌতম। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও সালিশি সভায় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় ওই বিজেপি নেতাকে। তবে কী সত্যিই সেই অপমানের কারণেই এই মর্মান্তিক পরিণিত? নাকি গোটা ঘটনার পিছনে লুকিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া নোটটি আদৌ মৃতের হাতে লেখা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, এদিন ওই বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধারের পরই তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছিলেন যে, ওই ব্যক্তি মহিলা ঘটিত সমস্যায় জড়িত। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাড়িতেও অশান্তি চলছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.