রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করল পুলিশ। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা শুরু করেছে। এছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশ দিয়ে জলপাইগুড়ির লক্ষ্মীপাড়া চা-বাগানে জন বারলার বাড়িতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। সাংসদকে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ খোদ সাংসদের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “ সাংসদ লকডাউন উপেক্ষা করে চারিদিকে ঘুরছেন। এছাড়া এথেলবাড়িতে আমাদের পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে ওনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওনাকে বাইরে বের হতে বারণ করা হয়েছে। ”
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া থানাতে বিজেপি সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। মুলত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১১৮ নম্বর ধারা ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। দুটোই জামিনযোগ্য ধারা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি বাধায় মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি সাংসদ। বার বার চেষ্টা করেও এদিন পুলিশি বাধা টপকে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। কোথাও ত্রাণও বন্টন করতে পারেননি সাংসদ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তিনি বলেন, “আমার বাড়ি প্রায় ২০ জনের বেশি পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যেন আমি কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ঘুরে ঘুরে ত্রাণ দিচ্ছে। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে। অথচ আমি এলাকার সাংসদ। আমার এলাকায় না খেতে পাওয়া মানুষদের মধ্যে আমাকে ত্রাণ বন্টন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, রবিবার ডুয়ার্সের বন্ধ চা-বাগান বান্দাপানিতে ত্রাণ দিতে গেলে সাংসদকে আটকে দেয় পুলিশ। বান্দাপানি চা-বাগানের ৫০০ মিটার দূরে তাকে আটকে দিলে রাস্তায় বসে পরে ক্ষোভ জানান সাংসদ। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। সোমবারও পুলিশের বাধায় ত্রাণ দিতে পারেননি সাংসদ। মঙ্গলবার তাঁকে বাড়িতেই পুলিশ পাহারায় আটকে দেওয়া হল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.