Advertisement
Advertisement
Asansol stampede

জিতেন্দ্রপত্নীর ফ্ল্যাটে তালা, জেরা করতে গিয়ে পরপর দু’বার খালি হাতে ফিরল পুলিশ

আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআরে নাম রয়েছে জিতেন্দ্রর স্ত্রীর।

Police could not found wife of Jitendra, accused of Asansol stampede | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 22, 2022 12:30 pm
  • Updated:December 22, 2022 1:28 pm  

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: মঙ্গলবারের পর ফের বৃহস্পতিবার। আসানসোলে তিনজনের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় জেরা করতে চৈতালি তেওয়ারির বাড়িতে ফের হানা দিল পুলিশ। কিন্তু বৃহস্পতিবারও খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। কারণ এদিনও তেওয়ারি দম্পতির ফ্ল্যাটে তালা ঝোলানো ছিল। এনিয়ে পুলিশের দ্বিতীয় নোটিস এড়ালেন বিজেপি কাউন্সিলর।

মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবার সকালেও আসানসোলের ফ্ল্য়াটে হাজির হয় পুলিশ কর্মীরা। চৈতালি তেওয়ারিকে বাড়িতে না পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পুলিশ আবার ফিরে যায়। গত মঙ্গলবার পুলিশ গিয়েছিল চৈতালির বাড়িতে। তখন একটি নোটিস দিয়ে এসেছিল পুলিশ। যেখানে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার যেন কাউন্সিলর চৈতালি বাড়িতে থাকেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেইমতো এদিন পুলিশ যায়। কিন্তু ফ্ল্য়াটে তালা থাকায় সিঁড়িতে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান তাঁরা। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, পুলিশের তিনটি নোটিশ এড়ালে চৈতালির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দলীয় সহকর্মীদের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগাম শুভেচ্ছা, ফের তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা পার্থর]

 উল্লেখ্য, রবিবারই স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রওনা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। নোটিসের বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “আমার এই ব্যাপারে কিছু জানা নেই। পুলিশ আমায় কিছু জানায়নি।” মঙ্গলবার স্ত্রীকে জেরা করতে আবাসনে আসার এক ঘণ্টার মধ্যে টুইট করেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। লেখেন, “ছেড়ে যাব না এই বাংলাকে, জন্ম হয়েছে এই বাংলার মাটিতে মৃত্যু বরণ করব বাংলা মায়ের কোলে, আসানসোলের তৃণমুল নেতারা যা পারবে করো।”

উল্লেখ্য, গত বুধবার আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে শিবচর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। বকলমে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন বাউরি পরের দিন আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ তিনটি ধারায় এফআইআর হয়। তাতে জিতেন্দ্র তেওয়ারি, চৈতালি তেওয়ারি-সহ নির্দিষ্ট করে ১০ জনের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে দেশে বাড়ছে উদ্বেগ, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে মোদি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement